প্রতিবেদক, জুবায়েদ মোস্তফা
অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২৫ উপলক্ষে দাঁড়িকমা প্রকাশনী থেকে প্রকাশ হয়েছে মাহফুজুল হক রিফাত এর প্রথম থ্রিলার বই লিথাল।
বইটি সায়েন্স ফিকশন এর উপর নির্ভর করে লিখা কিশোর থ্রিলার। লেখকের বইটি লেখার প্রধান উদ্দেশ্যই ছিল কিশোরদের থ্রিলার গল্পের প্রতি আরো আকৃষ্ট করা। যারা সাধারনত বই একদমই পড়েন না অথবা পড়তে চান না, তাদের গল্পে ধরে রাখার জন্যই লেখক চেষ্টা করেছেন বই এর প্রথম পৃষ্ঠা থেকে শেষ পৃষ্ঠা পর্যন্ত টান টান উত্তেজনা রাখতে।
লিথাল বইটি এক উদ্ভাবক বাবার গল্প। যে, তার পরিবার এবং মেয়েকে রক্ষা করতে গিয়ে লড়াই করতে হয়েছিল নিজেরই সৃষ্টির ( রোবটের) বিরুদ্ধে ।
পরিবারের হত্যাকারী থেকে প্রতিশোধ নিতে তার লড়াইটা কেবলমাত্র নিজের সৃষ্টির বিরুদ্ধেই ছিল না। ছিল বিশ্বাসঘাতক, মানুষ এবং দানব এর বিরুদ্ধে। গল্পের প্রধান চরিত্র একে একে নিজের বিস্ময়কর সব আবিষ্কার এর ব্যবহারের মাধ্যমে বেঁচে ফিরে ভয়ানক সব ফাঁদ থেকে। রক্ষা করে নিজের মেয়েকে।
লিথাল একটি ফিকশন থ্রিলার বই হলেও এটাতে চমৎকার কিছু ধর্মীয় এবং বাস্তবিক উক্তি রাখার চেষ্টা করেছেন লেখক।
যেমন;
" যেই পৃথিবীতে স্বয়ং সৃষ্টির সেরা জীব তার সৃষ্টিকর্তার সাথে প্রতারনা করে। সেখানে আমার তৈরি লোহার যন্ত্র কমরেড ১.০ তো শুধুমাত্র একটি রোবট ই"
বইটির সর্ম্পকে লেখক বলেন,
" গল্পটি লেখার সময় আমি নিজেও জানতাম না যে, পরের পৃষ্ঠায় আসলে কি ঘটতে যাচ্ছে। আমি লিখেছিলাম শুধু। নিজেও অনেক আগ্রহে ছিলাম যে আসলে এই গল্পের শেষটা কোথায় হচ্ছে? কেন এত বিপদে পড়ছে গল্পের প্রধান চরিত্র আর কেনইবা অজ্ঞাত শত্রু তাকে বিপদে ফেলছে! তবে যেহেতু মানুষের জীবনেরও শেষ আছে তেমনি সৃষ্টিকর্তা ব্যতীত এ জগতে প্রত্যেকটা জিনিসেরই একটা শেষ রয়েছে। আমিও শেষ করেছি। তবে জানিনা এই শেষ পাঠক কিভাবে গ্রহণ করবেন। পাঠকদের উপর নির্ভন করছে এই গল্পের প্রধান চরিত্রের প্রত্যাবর্তন ।
নিজের প্রথম বই প্রকাশের ব্যাপারে তিনি আরো বলেন,
লিথাল প্রকাশের সুযোগ আসে আমার বাবার মৃত্যুর এক সপ্তাহ পর। অর্থাৎ তখন আমার মানসিক অবস্থা কেমন ছিল সেটা সবাই অনুমান করতে পারছেন । আমি ভেঙে পড়তাম যদি এমন মূহুর্তে আমার পরিবার আমাকে সাপোর্ট না দিতো।আমার বই প্রকাশে আমার বড় ভাই এবং বোন এর অবদান অনেক বেশি। বাবার শূন্যতা কাটিয়ে তুলতে আমার ভাই নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে আমাকে সাপোর্ট করেছে। লিথালে এক বাবার সংগ্রাম,আত্মত্যাগ এর গল্প ফুটে উঠেছে বলে আমি আমার সেরা গল্পটি রেখেও লিথাল প্রকাশ করেছি শুধুমাত্র বাবাকে উৎসর্গ করবো বলে। যিনি বেঁচে থাকতে দেওয়ার মতো কিছুই ছিলোনা আমার কাছে।
এমন কঠিন পরিস্থিতিতে থেকে আমি আমার প্রথম বই প্রকাশ করতে গিয়ে কিছুটা ভুল ত্রুটি করেছি, কিছু শিখতে পেরেছি, জানতে পেরেছি অনেক কিছু। পাঠকদের কাছে অনুরোধ থাকবে নতুন লেখক হিসেবে আমার ভূল ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার।
ফিকশন থ্রিলার প্রিয় পাঠকদের কাছে লিথাল বইটি চমৎকার লাগবে এমনটাই লেখকের প্রত্যাশা এবং তিনি প্রস্তুতি নিচ্ছেন নিজের সেরাটা নিয়ে শীঘ্রই হাজির হওয়ার।
বইমেলায় ৩৬৫,৩৬৬ নং স্টলের পাশাপাশি অনলাইন প্লাটফর্ম রকমারিতে পাওয়া যাচ্ছে লিথাল।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০