------
কতবার ভাবি, নিজেকে ভালোবাসি, নিজের ছায়ার সাথে চলি। নিজেকে সময় দিই, নিজের খেয়ালে চলি৷
কিন্তু তা আর হয়ে উঠে না! দিনশেষে একা থাকলে হঠাৎ মনে পড়ে কেউ একটা দরকার,বিশস্ত কেউ একটা।
শুধু নিজেকেই সময় দিলে আবার, চারপাশের মানুষগুলাও ভাবে আমি মনে তাদের পর করে দিচ্ছি।
কতশত অভিযোগ!
আর নিজের খেয়ালে চলা,তা তো আরো দুরে।
কত বাধা, এটা করলাম কেনো,ওটা করলাম কেনো।
যতশত জবাবদিহি দিতে হয়।
একটা সময় ছিলো যখন, সারাটাদিন রুমে থাকতাম।
কেমন যেন একটা ভালোলাগা ছিলো তখন।
বিকেলটা হলে আবার সাইকেলটা নিয়ে করতোয়া নদীর পাড়ে যেতাম, একা একা বিকেল বেলা বসে বসে গান শুনতাম আর নদী দেখতাম। তারপর রাত নেমে এলে বাড়িতে এসে পড়তে বসতাম। কিচ্ছুক্ষন পড়াশোনা করে ঘুমিয়ে যেতাম।
আবার, কলেজ জীবনে সারাটাদিন মেসে রুমে শুয়ে থাকা, ক্লাস থাকলে কলেজে গিয়ে আবার মেসে। বিকেলে একা একা হাটতে বের হওয়া। এসব দেখে দিনটা কেটে যেতো। রাতে আবার পড়াশুনা শেষ করে, কানে হেডফোন লাগিয়ে গান শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে যাওয়ার যে ব্যাপরটা!
সত্যি তখনি ভালো ছিলাম। কিন্তু এখন জানি ওমনটা আর হয় না, আমার ওই জীবন থেকে কি করে এতো দূরে সরে আসলাম আমি। নিজেও জানি না।
এখন রাতের চারটা, পাঁচটা বাজলেও ঘুম আসে না।
আবার রুমে শুয়ে থাকতেও আর ভালো লাগে না,বাইরেও ভালো লাগে না। কিন্তু আমি আমার ওই দিন গুলো চাই,খুব করে চাই।
হে ইশ্বর তুমি ফিরিয়ে দেও না সেই দিনের মতো সবকিছু।
------
জীবন কুমার রায়
লোকপ্রশাসন বিভাগ
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০