অপমৃত্যু
তাহমিদ ইসলাম
মাথার উপরে জোছনা
আর নিচে শুধু জমিন আর জমিন।
কোথাও এক ফোটা রক্তের অস্তিত্ব নেই,
কোন গাছ-পালা নেই
মৃত বা জীবন্ত দেহ নেই।
ঘাসেদের মতো কিছু আগাছা আছে আশেপাশে
যাদের ভেদ করে জোছনা আমি পর্যন্ত আসতে হিমসিম খাচ্ছে।
দূরে কোথাও মৃত শুকর পড়ে আছে
যার পচা মাংস খাচ্ছে ক্ষুধার্ত হায়না।
পেটে অসুখ হয়ে ওরা কবে মরবে কে জানে?
ভাবছি শুকর পর্যন্ত শিকর পৌঁছাতে কতদিন লাগবে।
কিছু মৃতপ্রায় আগাছাদের আড়ালে অনুর্বর জমিনে আমার অংকুর কি বের হবে?
জীবনের আশ্বাস জাগে পাশে দুতলা ভবনের ছাদের বাগানটা দেখে,
যেখান থেকে বাতাস আমাকে নিচে ফেলে দিয়েছে,
শীতের শিশিরে ওরা পরিপুষ্ট,
বনসাই হতে চাইনি বলে এখানে আসা।
মানুষ বলে মরার মতো বেঁচো না।
শোন হে মানুষ,
বেঁচে থেকে তুমি যদি মরার স্বাদ পেটে তবে তুমি মরতে চাইতে না।
রাত কাটতেই ফজরবাদ কেউ একজন মাটিতে কোপ দিয়ে জানিয়ে দিলো
আমি বেঁচে আছি।
বোঝা গেল এখানে কবর হবে,
অতঃপর লাশ চাপা দিতে গিয়ে আমাকে সবার আগে ফেলা হল।
এখন লাশটি সার হবে ঠিক তবে
আমার মৃত্যু নিশ্চিত।
অতঃপর আমিও ফুলে উঠলাম লাশটার মতো
যার দুর্গন্ধ হতে ঈশ্বরও থাকে অনেক দূরে।
বেঁচে থাকার তীব্র ইচ্ছাই আমার অপমৃত্যুর কারন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০