কবিতা: অভিপ্রায়
আঁধারের আড়ালে মেঘ রূপকথার গল্পে
স্বাদ আটকে যাওয়া অবধি….কল্পে
সেধেছে কারে অবচেতন ঘোরে,
গড়িয়ে রেখো অর্ধেক করে।
হে!আকাশের দেবতা,সৃষ্টিকর্তা
বারবার মহীয়ান হও তুমি প্রান্তরে,
ঠিকানার অভাবে,গতরের অভ্যন্তরে
আমি তো তারে পাইনি,খুঁজে ও বিকল্পে।
কালহরণে,সবচে বেশি মরণে
যুগান্তর ধরে হৃদয় ঘরে,
আরও হরেক রকম শিল্প মননে
সে পঞ্জিকা হিসেব করে।
সাধু বলে, তার জানা আছে কলকথা
সবই চেয়ে আছে,পৃথিবীর বিধাতা।
এইসব বিকিকিনির বাজারে,
মদের নেশা কোণে কোণে
সুদের অভিশাপ পরাণে।
পয়সা ঢালে হাজারে হাজারে।
খারিজের অপেক্ষা, সেইসব প্রেম
যে প্রেমে মজেছে কবি,লিখেছে কবিতা
এসে দেখে যেও;ওগো আকাশের বিধাতা!
মহামান্য উদাস; এদিক চেয়ে
সেলাম ঠুকেছে এখন,
তোমাতে অভিপ্রায় বলতে গিয়ে
স্বপ্নটাই যাবজ্জীবন!
কবিতা- অর্ঘ্যবিরচন
হৃদয় রংয়ে স্নান করে যা
ওরে নীল দরিয়া,
দিশেহারা পথিক আমি
হয়ে উঠেছি মরিয়া।
মাঝরাতে সুখ উপচে উঠে
ভোররাতে ঘুম শেষ,
আমার দিনেরা হাহাকার করে
সন্ধ্যেরা নিঃশেষ।
পথিক এসে জাগিয়ে তোলে
সালাতের জয়গান,
প্রভাত ফেরি প্রার্থনা বুলি
গেয়েছি অম্লান।
লাজ করেছে সুরুজ ওঠায়
মান করেছে চাঁদ,
মন বলেছে চল রে আজই
সমুদ্রে মেটাবো স্বাদ।
এই আমার দিনাতিপাত
গহীন কোণে আলোড়ন,
এসে দেখি সব এলোমেলো
আমার অর্ঘ্যবিরচন।
কবিতা: বিদায়ের আয়োজন
রয়ে যায় মরুভূমিতে প্রখর
তপ্ত বালুকা মন,
শেষ বিদায়ের সাজসজ্জায়
কতই না আয়োজন!
এখানে রবে না আত্মীয় আর
রবে না কোনো জন,
শবের উপর ফুলগুলো সব
সাজবে কতক্ষণ!
রঙিন পোশাকে লাগে দারুণ
ঢের সুন্দর তন,
নাসিকায় আর শ্বাস নেই
আগাগোড়া সাদা এখন।
আতর এবং আগরবাতি
চেরাগের ধোঁয়া যখন,
ডাকলে আর দেবে না সাড়া
মুর্দা জড়ানো কাফন।
অগোচরে কাঁদে কোথায় পাবে
মায়াবী এ বাঁধন,
ছেড়ে ছুঁড়ে সব দুনিয়াদারী
চলছে গোর খনন।
মাটি তার অপেক্ষা করে
সাওয়াল-জওয়াব ক্ষণ,
তলক্বিন শেষ;এখানেই ইতি
কথা বলে না জীবন।
লেখক: শিক্ষার্থী, আরবি বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।