কোন এক গোধূলি ক্ষণে,চায়ের পেয়ালা হাতে নিয়ে,
সুখ খুঁজে পায় চায়ের চুমুকে চুমুকে ধোঁয়া উড়িয়ে।
তলিয়ে যায় সকলি মোর বিষাদ চায়ের জলের তলে,
জমানো বুকের ব্যথা ভাসিয়ে দেয় চায়ের গাঢ় জলে।
সবুজের বিছানাতে চা কুঁড়িগুলো আঁখি মেলে হাসে,
সখ্যতা গড়েছি চায়ের সাথে বসে চা বাগিচার পাশে।
শীতের হিমেল হাওয়ায় শিশির নামে চায়ের পাতায়,
উষ্ণ চায়ের চুমুকে কবিতার ছন্দ উড়ায় মনের খাতায়।
চারিদিকে সুনসান, নীরবতা, হাতে চা ছাড়া কিছু নেই,
চুমুকে চুমুকে স্মরি তোমার অনুভব, ভাবি আনন্দেই।
জীবনের রঙ গাঢ় করেছি, চায়ের গাঢ় লিকারের মতন,
তোমার জীবন সাজাবো সবুজে ভরিয়ে করে খুব যতন।
তুমি এলে তাই, মোর বিষাদ জীবন হলো সহজ সরল,
চা বৃষ্টি সুধা আকন্ঠ পানে, নামে মনের সকলি গরল।
তাই চায়ের চুমুকে চুমুকে বেলা যে বয়ে যায় ধীর-আস্তে, গোধূলি ক্ষণে, তোমার সাথে চা পানে বেলা যাক ভেস্তে।