বীর নেতা
কে এম ইদ্রিস আলী
বাংলার কোল লাগলে যেদিন
এসেছিলে তুমি হে, বীর যুথি
সূর্যও যেন হেসেছিল সেদিন,
তোমার আগমন দেখি।
তুমি মহানেতা, বীর যোদ্ধা, তুমি মহাকবি
কথা দিয়ে, মন দিয়ে হয়েছো বাঙালির কান্ডারী।
৭ কোটি জনতা হয়েছিল এক, তোমার কথা শুনি;
রক্ত সাগর পাড়ি দিয়ে তারা স্বাধীনতা এনেছে ছিনি।
আজও আকাশে বাতাসে ধ্বনিত হয়
৭ই মার্চের সেই মন্ত্রমুগ্ধ বাণী;
যার প্রেরণায় জন্ম নিয়েছিল
এক নতুন বিপ্লবী জাতি।
প্রেরণা দিয়েছ, শক্তি দিয়েছো তুমি হে,
বাঙালির জনক চির বিপ্লবী।
তাইতো আজও ১৬ কোটি জনতা,
মোরা তোমাকেই স্মরি।
দেখিনি, শুধু শুনেছি, পড়েছিও বটে
লিংকন, গান্ধী হয়েছিল জয়ী শুধুই নেতা হয়ে।
আর তুমি! তুমি মহা জয়ী।
শুধু নেতা নও, ৭ কোটি বাঙালির সাথী।
তাইতো তারা বলেছিল বঙ্গবন্ধু তুমি।
ছাত্র সমাজ যেদিন তোমায় দিয়েছিল এ উপাধি আকাশ বাতাস পুলকিত হয়েছিল
শুনে এ মহান উক্তি।
স্বাধীনতা পরে চারটি বছর জুড়ে
ছিল সোনার রাজনীতি।
রাজনীতি নয়, জনতার নীতিই যেন ছিল
বঙ্গভূমি জুড়ি।
সব ভালো সহেনা সবার
সে কথা সবাই জানি।
প্রবাদ আছে না?
কুকুরের পেটে সহায় না কভু ঘি।
কিছু বিপথী কুলাঙ্গার তখনো ছিল
সোনার ভূমি জুড়ি;
১৫ই আগস্ট কালো রাতে তারা
ছিনিয়ে নিয়েছিল সব শান্তি।
বাঙালি যখন শুনেছিল
আর, নাহি তাহাদের নেতা;
গুমরে গুমরে কেঁদেছিল তারা
হয়েছিল দিশেহারা।
শুধু বাঙালি নয়, বিশ্ব জাতি
আকাশ, বাতাস, পাখি,
চন্দ্র, তারা কেঁদেছিল সবাই
হারিয়ে তিমির বাতি।
ওরা পারেনি তোমায় মারতে মুজিব
পারেনি কো হারাতে;
তুমি বীর নেতা, হয়েছ জয়ী
বেঁচে আছো কোটি মানুষের প্রাণে।
আজও বিশ্ব নেতারা চলছে মুজিব
তোমার পদাঙ্ক দেখি।
তুমিই তো তাদের শিখিয়েছ
শোষিত, নিপীড়িত জাতিকে
উজ্জীবিত করার মন্ত্র-বাণী।
তাইতো খেতাব পেয়েছ তুমি,
রাজনীতির কবি রূপী।
আজ গভীর আবেগে শ্রদ্ধা ভরে
তোমাকেই করি মনে,
ভালোবাসা হয়ে রইবে তুমি
বাঙালির বক্ষ জুড়ে।
যত দিন রবে বাঙালি জাতি
রাখবে তোমায় মনে,
তাইতো মোরা নবাগতদের আহ্বান করি
মুজিবী সম্ভাষণে।
--------
শিক্ষার্থী, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০