শরীয়তপুরের শরীফা বেগম,অষ্টাদশী মেধাবী বি এ সদ্য পাস। অষ্ট ধাতুর গহনা পড়া মনে হয় পায়ে আলতা লম্বা হালকা তনু খোপায় গোলাপফুল বাহু যেন গোলাপের শাখা গিরা যেন তল্লাবাঁশের কষ্ণির মূল। গায়ের রং দুধে আলতায় মেশানো লালচে বরণ।
বাবা গরীব গফুর মিয়া মা’গেছে সদ্য মারা। একই গ্রামের ধলুমিয়া কিছু লেখা পড়া জানা,একটি কোম্পানিতে অল্প বয়স হতেই চাকরি করে।
চাকচিক্যের চলন বলনে মনে হয় খুব ধনী, ততোধিক বিয়ে, প্রথম ঘরের ছেলেরা বেশ বড় কারো কারো বিয়েও হয়েছে। চার পাঁচটা বিয়ের পর ধলুমিয়ার চোখ পড়ে সুন্দরী শরীফার উপর।
শরীফা তো এমন নারাজ যে সে এর চেয়ে মরতেও রাজি,বাবা বড় পাজি সুযোগ বুঝে ধলু মিয়া গফুরকে একা পেয়ে একটি টাকার বান্ডেল ধরিয়ে দিল আরো কিছু দিয়ে স্বজনদের মধ্যে মাদবর দেখে দেখে কিছু দিয়ে দিয়ে হ্যান্ডেল করে সবাই কে রাজী করে শরীফাকে বিয়ে করল। গরীব গফুরের মেয়ে এ বাড়ির তুলনামূলক চাকচিক্য টাকার আধিক্য দেখে তিন বছরে তিন ছেলের মা’ হল।
হঠাৎ ধলু মিয়া অক্কা পেল,আটচল্লিশ বছরের ধলু মিয়া মৃত্যু অন্তে দেখা গেল তার ঘরে একটি টাকাও নাই ব্যাংকে কিছু ই নাই শুধু ঋন আর ঋন মরার খবরে সবাই চাইতে এল আলোচনায় মানুষের শুধু ঘৃন আর ঘৃন।
কোম্পানি হতে কিছু টাকা পেল সবই বড় বউ ছেলেরা পুত্র বধূ শ্বশুর যেন ছিল সাধু নিয়ে গেল সব বিয়ের দোষ শরীফারে দিল। শরীফা ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে রইল। বাবা গফুর মিয়া গাফুরুর রহমানের ডাকে শোকে মারা গেল।
শরীফা সন্তানদের মুখের দিকে তাকিয়ে শক্ত হল। মেধাবী ছাত্রী, পাড়ার ছেলে মেয়ে ব্যাচে ব্যাচে পড়ান শুরু করল। তাঁর মনের গহীনে আছে আগে নিজের পায়ে দাড়াতে হবে।
নানা দিক থেকে নানা বিয়ের প্রস্তাব এল সে সব নাকচ করে দিল। টিউশনির টাকা দিয়ে ছেলেদের নিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে জীবন চলল,তাঁর বাঁচার জন্য বিধাতার কাছে করুন মিনতি,বাবার প্রতি একটু ও রাগ নেই এ যেন তাঁর ভাগ্যের পরিনতি। সে একদিন ঘুরে দাড়াবে যোগ্য মনে হলে বিয়ে করবে নয়তো করবে না।
তবে দীর্ঘ নিঃশ্বাসে বিশ্বস্তদের বিশ্বাসে বলে- কোন বাবা যেন লোভে এমন কাউকেই অসম বিয়ে না দেয়।
সংগ্রহে সাংবাদিক মফিজুল