নক্ষত্রের রাত
বি, এম সাজ্জাদুল ইসলাম সোহাগ
গভীর জোৎস্নায়
নক্ষত্রের রাতে
আর গাছের ছায়ায়
আমি পড়েছি তোমার মায়ায়।
মনে আলাদা করে অনেক দুঃখ জমা
এ বিবেক করতে চায় না তাকে ক্ষমা।
বাকি সবার মতো স্বাভাবিক নয় এ জীবন
অনেক কষ্টকর কথা করতে হয় শ্রবণ ।
এ সমাজের সবার মাঝে লুকিয়ে থাকা আশা
নক্ষত্রের রাতের আলোয় বসে থাকা আমার ভরসা।
হিংসা,ঘৃণা আর ভয়
এ দেশের মানুষের পেছনে পেছনে দৌড়ায়।
নক্ষত্রের রাতে আলোর স্নিগ্ধ হাওয়ায়
পুকুর পাড়ে বসে তোমার ভাবনায়।
দুঃখ,কষ্ট হীন
এ জগতে কাউকে খুঁজে পাওয়া বোধহয় কঠিন।
নক্ষত্রের রাতে
কত মা হারা ছেলের কান্না ভেসে আসে।
কত না ভাই হারা বোন
খুঁজে বেড়ায় ভাইয়ের আদর সারাক্ষন।
এ সমাজ বড়ই বিচিত্র
কেউ তুলে ধরে না অন্য কারো জীবনের সুচিত্র।
নক্ষত্রের রাতে
আবেগময় স্মৃতিতে বোধহয় ডুবেছি আমরা।
নক্ষত্রের রাতে নদীর পাড়ে হাঁটতে তাঁরাই পারে
যারা দুঃখকে আপন করতে জানে।
নক্ষত্রের রাত বড়ই রহস্যময়ী রোমান্টিক
তাদের জন্য যারা সুখকে অল্প দামে কিনতে পারে।
নক্ষত্রের রাতে বন্ধুদের সাথে
ঘুরতে পারার আনন্দ অনুভূতি আর কিসে আছে?
নক্ষত্রের রাতে মায়ের আঁচলে বসে
গল্প শোনার মুহূর্ত কী কিনতে পাওয়া যায়?
নক্ষত্রের রাতে বাবার বকুনিতে আলাদা মায়া জড়িয়ে থাকে
যেটা সবার উপভোগ করার সৌভাগ্য হয় কী?
নক্ষত্রের রাতে লুকোচুরি খেলাতে
মন্দ কী কারো লাগতে পারে?
নক্ষত্রের রাতে স্ত্রী অপরূপার পাশে
বসতে কার না মন চায়।
নক্ষত্রের রাতে উঠানে দৌড়াতে
কে না মজা পায়।
নক্ষত্রের রাতে শৈশবে ফিরে যেতে লাগে না সময়।
নক্ষত্রের রাত আসুক আমাদের সকলের জীবনে
নক্ষত্রের মতো উজ্জ্বল ও পরিচ্ছন্ন হয়ে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০