ফারজানা জান্নাত :
এ লাশ আমি বিশ্ব জাদুঘরে রেখে দেবো;
নব প্রজন্ম যেনো আর শিক্ষাগৃহে মুখ না করে,
কেউ যেনো আর পদলেহনে বিমুখ না করে,
কেউ যেনো আর মুজিবের বজ্রশিখা না জ্বালায়,
আর কোনো বাবার কপাল চাপড়াতে না হয়।
এ লাশ আমি বিশ্ব জাদুঘরে রেখে দেবো,
মা’য়ের বুকের মানিক হারানো কাকুতির শেষ হতে দেবোনা,
কোনো পিতার কাঁধে লাশ নিতে দেবোনা,
কোনো নেতার মুখের সহানুভূতির বুলি শোনাতে দেবোনা,
কোনো পিশাচকে অট্টহাস্যে লেলিয়ে দেবোনা।
এ লাশ আমি বিশ্ব যাদুঘরে রেখে দেবো,
প্রলয়ের ভয়ানক ক্রোধ আমার বুকে বেঁধে উঠবে
শিক্ষা আর মনুষ্যত্বে আনবে বিরাট ফারাক,
এ লাশ যতবার দেখবো, ততবার এ দেশকে হত্যা করবো।
এ লাশ আমি বিশ্ব জাদুঘরে রেখে দেবো,
পৃথিবীর বুকে আমি আমাকে চেনাবো
মা’য়ের চোখকে চেনাবো সন্তান
ভাইয়ের বুকে-পিঠে লেপ্টে দেবো ভ্রাতৃত্বের দাগ,
মদ আর সিগারেটের ধোয়ায় পিষ্ট হবে শিক্ষা।
গদ-শিক্ষাকে পায়ে পিষ্ট করতেই আমি পৃথিবীর জাদুঘরে রাখবো,
আমি এই পৃথিবীর কাছে হাজার বছর ধরে বিচার চাইবো,
কিন্তু সর্বোচ্চ?
সর্বোচ্চ আমি ; আমি নই
আমি দেশদ্রোহী
বিষাক্ত রাজনীতির ছোবলে
আবার আবার আবার; বারবার লাশে ভরে গিয়ে হবে জাদুঘর পূর্ণ।
আমি নির্লজ্জের মতো বিচার চাইছি কেনো?
এ পৃথিবী কয়টি লাশের বিচার করেছে?
এ সভ্য পৃথিবীতে বিচার চাওয়াই অসভ্যের কর্ম
বরং তুমি প্রকৃতি হয়ে যাও;
অবিচার দেখলেই বিলীন
সবশেষে জাদুঘরে স্থান।
তাই এ লাশ আমি বিশ্ব জাদুঘরে রাখবো।