মো:হেলাল মিয়া।
শ্রাবণ মেঘের দিনের শেষে, শরতের সদ্য প্রস্ফুটিত কাশফুলের ন্যায় যখন সে এসে কড়া দেয় মোর আঙ্গিনায়,
তখন আমি একান্তই তোমার।
বর্ষার কাল মেঘকে দমন করে যখন শুভ্র মেঘ উড়ে যেতে দেখা দেয় শরতের নীল আকাশে তখন মেঘ হতে শুনতে পাই,
তুমি জন্ম জন্মান্তরের জন্য আমার।
শরতের সদ্য ফুটন্ত কেয়া,শিউলি কিংবা পদ্মের কলি,
সব ছাপিয়ে যায় তোমার পরশে,
কারন তুমি আমার।।
চির দিবসের জন্য, চির কালের জন্য তুমি শুধুই আমার।।
শরৎ বিদায় নেবে হেমন্তের নবান্ন উৎসবের আগমনে, আমি সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে যাব তোমার টানে থাকব তোমার ক্রান্তিলগ্নে,
কারণ তুমি আমার।
বিধাতার যত চির সুন্দর সৃষ্টি আছে তার মধ্যে তুমি অনিন্দ্য। তাই আজ মন ছুটে গেছে সকল অতীত কে ভুলে তোমার কাছে,
কারন তুমি আমার হবে।
পৃথিবীতে রচিত হয়েছে যত গোপন বিরহ প্রেম, তার মধ্যে তোমার আমার প্রেমই সেরা,
কারন তুমি আমার শত জনমের চির অমর আত্মা।
হেমন্তের শুষ্ক শিশির বিন্দু হতে ভেসে আসুক আমাদের অমায়িক প্রেমের বার্তা,
সে ও জানুক তুমি আমার।
শীতের জীর্ণতা কে কাটিয়ে একটু উষ্ণতা অনুভব করুক, সকাল বেলার ঘোর অমানিশায় একটু দৃশ্যমান হউক আমাদের এই পথ,
কারন পথ হারালেও যেন তোমাকে না হারাই,
কারন আমি ও তোমার।
শীতকে পরাজিত করে বসন্তের বাসন্তী উৎসবে পাশে রাখব তোমায়,
নানা ফুলের গন্ধে আর কোকিলের ডাকে যেন তুমি চলে না যাও,
কারন তোমার স্থান আমার এ হৃদয়ে।
চৈত্রের দুপুরে যদি পিপাসায় খাঁ খাঁ করে তোমার ওই কোমল হৃদয়, ছুটে আসিও আমার পানে,
সমস্ত পৃথিবী তন্নতন্ন করে খুঁজে বারিধারা এনে দিব তোমার নিকটে,
কারণ বড্ড ভালোবাসি তেমাকে।।
বর্ষা বাদল ও দিনে এই তনু মলিন করে তুমি চলে যেও না,নইলে বর্ষা তার বর্ষণ ধারা থামিয়ে দেবে,
শুষ্ক হবে চাষের জমি,নইলে এই দেহ হবে মিসরীয় সভ্যতার মমী।
কারন তুমি আমার।
অমর হউক আমাদের বেদনা মলিন এই প্রেম, মুখে মুখে থাকুক আজীবন,মানব হৃদয়ে স্মরণীয় থাকুক প্রেমের কথা মালা।
ঋতু আসুক, ঋতু যাক, প্রকৃতি
পরিবর্তন হউক আর নাই হউক,
তবুও তুমি আমার।।
আমারই থাকবে তুমি সবসময় শরতের শুভ কাশফুলের ন্যায়,
সব সময় নতুন রুপে নতুন সাজে
এই হৃদয়ের মাঝে।
তুমি আমার,তুমি আমাদের।।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০