প্রিয় মুক্তিযোদ্ধা বাবা,
দেখ আজো সূর্যের আলোকরশ্মি
ছড়িয়ে পড়ে রোজ ভোরের শিশিরের বুকে।
যে দিন তুমি চলে গিয়েছিলে
ঝরা শিউলি বুকে পা-রেখে,
স্রোতসিন্নী নদীর পাশ কাঠিয়ে,
দেখিনি সেদিন তোমায়।
পনেরো বছর বয়সে যখন,
সপ্নকে কুড়িয়ে আনতে গিয়েছিল
সিলেট এগারো নম্বর সেক্টরের।
হাতে ছিল তোমার রাইফেল,
বুকে ছিল সপ্নবাজ নেতার সপ্ন।
সে সপ্নকে তুমি সত্যি করতে
রাইফেলের গুলিতে পঙ্গু হয়েছিল।
না বাবা,
তোমাকে রাইফেলের গুলি-
থামাতে পারিনি সেদিন
রাইফেলের গুলি হয়তো তোমাকে পঙ্গু করেছিল
কিন্তু, তোমার সপ্নকে রাঙ্গিয়েছিল
তোমার গুলিবিদ্ধ হাত।
১৯৭২ সালে যখন প্রিয় নেতাকে দেখেছিলে
তোমার খুশি কে দেখেছিল তা জানি না?
স্বাধীনতার পর যখন
গ্রামের মাটিতে পা রেখেছিলে
তখন, তোমার বুকের লাল সবুজের –
চাদর ছাড়া কিছু দেখিনি বাবা।
হ্যাঁ বাবা,
আজ তুমি হয়তো নেই, কিন্তু তোমার দেয়া-
রক্তমাখা চাদরটা যত্ন করে রেখেছি।
সেইটাতে মিশে আছে,
তোমার সপ্ন, তোমার আশা,
আর বাঙালির জন্য অকৃত্রিম ভালোবাসা।
স্যালুট বাবা তোমায়।
কবি :
আরিফা নাওরিন ঊর্মি
দ্বাদশ শ্রেণি
রামু সরকারি কলেজ।