ধরার ঋণ পূরণ
আল-আমীন অরূপ আবির
আনন্দ চিত্তে করছ খেলা
বেলা শেষে হারাবে অবহেলায়
কে বা রাখবে মনে এই ধারায়?
ধরার কাছে হয়ে গেছ ঋণী
বিনিময়ে দিয়ে গেছ শূন্যতাখানি
হাজারও সাধনায় প্রাপ্য এই জীবন
কি দিয়েছ,কি রেখেছ এমন?
খালি হাতে এসেছ,খালি হাতে যাবে
ভোগ বিলাসে মগ্ন থেকে বিদায় নেবে
জীবনের মানে নয় উপভোগের নাম
জীবনকে করোনা হেলা ফেলায় পার।
ধরার থেকে করেছ কত কিছু গ্রহণ
করে যাও ধরার সেই ঋণ পূরণ
নিজের ভিতরে থাকা জ্ঞানের করে যাও দান
অনন্য জ্ঞানের দানে কমতে পারে ঋণের ভার।
প্রাণ বায়ু,জৈবিক চাহিদা সব নিত্য প্রয়োজন
ভোগ বিলাসে মগ্ন থেকে করেছ ভক্ষণ
কত উদ্ভিদ,কত প্রাণীর ভক্ষণে নিয়েছ প্রাণ
বিনিময়ে দিয়ে যাবে কি শূন্যখানি দান?
বৃক্ষ তাহার সমগ্র কিছু করে অন্যকে দান
ফলমূল,প্রাণ বায়ু,জ্বালানি,ঔষধি দিয়ে
গাহি সে পরোপকারে স্বার্থকতার গান
নিজেতে আত্মমগ্নে নেয়না ঋণের ভার।
অক্ষি দ্বারা দেখেতে পাও সকল সৃষ্টি
কোথায়ও রাখতে পারবেনা কোন কীর্তি?
ছোট্ট ছোট্ট কাজও মহৎ হয়ে ওঠে
ভোগবিলাসে মগ্ন না হয়ে বিলিয়ে দাও আগে।
বিশ্বের কল্যাণে রেখে যাও কিছু অবদান
কমতে পারে ধরার বুকে ঋণের ভার
ভক্ষণ,ভোগবিলাস,মৃত্যু নয় জীবনের অর্থ
পরোপকার,মহৎ কাজেই জীবন স্বার্থক।
----
লেখক :
সদস্য,বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম,
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শাখা
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০