কক্সবাজার প্রতিনিধি:
৬ আগস্ট দুপুর ২:৩০টায় পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের সাথে সাবেক সংসদ সদস্য(মহেশখালী-কুতুবদিয়া) ড. এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ এক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
এ সময় তিনি কুতুবদিয়া, ধলঘাট ও মাতারবাড়ির বেড়িবাঁধ ভাঙন রোধে জরুরি মেরামত এবং স্থায়ী ও টেকসই বাঁধ নির্মাণের দাবিতে একটি ডিও লেটার হস্তান্তর করেন।
ডিও লেটার গ্রহণের পর উপদেষ্টা মহোদয় বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারকে ফোনে নির্দেশ দেন যাতে ভাঁঙা অংশ দ্রুত মেরামত করা হয় এবং ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে স্থায়ী ও টেকসই বাঁধ নির্মাণের জন্য দ্রুত প্রকল্প প্রস্তাবনা পাঠানো হয়।
এ প্রসংঙ্গে ড. আযাদ বলেন, “কুতুবদিয়ার বেড়িবাঁধ ভাঁঙনে দ্বীপের প্রায় দুই লাখ মানুষ জলোচ্ছ্বাস ও প্লাবনের ঝুঁকিতে রয়েছে। টেকসই বেড়িবাঁধ ছাড়া উপকূলীয় জনগণের জীবন-জীবিকা রক্ষা করা সম্ভব নয়।”
সাক্ষাৎকালে মহেশখালী ও সোনাদিয়ার প্যারাবন নিধন ইস্যুতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। ড. আযাদ অভিযোগ করেন, “প্যারাবন ধ্বংস করে উপকূলকে উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। বনদস্যুরা এভাবে উপকূলীয় জনগণকে জলোচ্ছ্বাস ও ঘূর্ণিঝড়ের ঝুঁকিতে ফেলে দিচ্ছে।”
উপদেষ্টা মহোদয় এ বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বন উজাড়কারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, “প্যারাবন উপকূলীয় জনগণের প্রাকৃতিক ঢাল। এর ধ্বংস কেবল পরিবেশ নয়, মানব নিরাপত্তার জন্যও হুমকি।”
ড. আযাদ বলেন, “উপকূল রক্ষায় একদিকে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ, অন্যদিকে প্যারাবন সংরক্ষণ ও পুনঃবনায়ন এখন সময়ের দাবি।