সাত্তার সিকদার, লোহাগাড়া,চট্টগ্রামঃ
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় বিভিন্ন সময় হারিয়ে যাওয়া বা চুরি হওয়া ৫০ টি স্মার্ট ফোন উদ্ধার করে মালিকের কাছে হস্তান্তর করে লোহাগাড়া থানা পুলিশ।
২৫ মে(শনিবার) রাতে থানার অফিসার ইনচার্জের কার্যালয়ে এসব উদ্ধার করা স্মার্ট ফোন হস্তান্তর করেন ওসি মোঃ রাশেদুল ইসলাম।
থানা সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় স্মার্ট ফোন হারিয়ে ভুক্তভোগীরা জিডি করেন থানায়। জিডির সুত্র ধরে ওসি মোঃ রাশেদুল ইসলামের নেতৃত্বে হারানো বা চুরি হওয়া স্মার্ট ফোন উদ্ধারে মাঠে নামে মোবাইল উদ্ধার টিমের প্রধান এএসআই এস এম রাশেদ।
লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাশেদুল ইসলাম জানান, উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে হারানো বা চুরি হয়ে যাওয়া স্মার্ট ফোন তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকদের হস্তান্তর করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, হারানো বা চুরি হয়ে যাওয়া কোন জিনিস ফিরিয়ে পেলে মানুষ যে আনন্দ পায়, তাতেই আমাদের সাফল্য। আনুমানিক ২ মাস আগেও হারানো ৩০ টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল। মোবাইল ফোন হারানো বা চুরি হয়ে গেলে থানায় এসে জিডি করার পরামর্শ দেন তিনি।
মোবাইল ফোন ফেরত পেয়ে আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যাপক মোঃ মিশকাতুর রহমান বলেন, অনেক দিন আগে আমার স্মার্ট ফোনটি হারিয়ে গেলে লোহাগাড়া থানার জিডি করি, আজ হঠাৎ থানার ফোন পেয়ে জানতে পারলাম আমার স্মার্ট ফোনটি উদ্ধার হয়েছে। হারানো স্মার্ট ফোনটি হাতে পায়ে অনেক খুশি লাগছে। লোহাগাড়া থানা পুলিশকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
হারানো মোবাইল হাতে পেয়ে কলাউজান ইউপি সচিব মোজাফ্ফর আহমদ বলেন, ২০২২সালে ও এবছরের প্রথম দিকে আমার দুটি মোবাইল ফোন হারিয়ে যায়, হারানোর সাথে সাথেই থানায় এসে জিডি করি। আজ হারানো দুটি ফোন হাতে পেয়ে অনেক আনন্দ লাগছে, লোহাগাড়া থানা পুলিশকে তিনি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
মোবাইল উদ্ধার টিমের প্রধান এএসআই এস এম রাশেদ জানান, উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে হারানো বা চুরি হয়ে যাওয়া স্মার্ট ফোন মালিকগণ থানার এসে জিডি করেন, ওসি স্যারের সার্বিক সহযোগিতায় এসব স্মার্ট ফোন উদ্ধারে কাজ করে যাচ্ছি। তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে দুই মাসের মধ্যে প্রায় ৮০ টি স্মার্ট ফোন উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকদের কাছে হস্তান্তর করতে পেরে অনেক ভালো লাগলো। হারানো বা চুরি হয়ে যাওয়া স্মার্ট ফোন উদ্ধারের কাজটি আমার কাছে পুলিশি সেবার একটি অংশ মনে হয়।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০