এবারের ২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস অন্য যে কোন সময়ের চাইতে ভিন্ন। অন্য বছরের স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে দেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, মন্ত্রী পরিষদের সদস্য বৃন্দ বিভিন্ন বাহিনীর প্রধানগণ সহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকেন। কিন্তু এবার!
শুনেছি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি নাও যেতে পারেন। শোনেছি প্রধান উপদেষ্টা চীন সফরে থাকবেন, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া লন্ডনে, জামায়াতে ইসলামীর আমীর ইতেক্কাফে। শেনেছি আপা আছেন কলকাতা, কলকাতা থেকে যশোহরের সীমান্ত কিন্তু খুব দুরে নয়।
এমন কঠিন সময়ে মাঠপ্রশাসন এবং রাজনীতিতে চরম অনৈক্য। এমন শুন্য সমীকরণে পরাজিতরা উচ্ছসিত। যে কোন উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ বাহিনীগুলো এবং সমস্ত জাতি গোষ্ঠীকে সতর্ক থাকা অতি আবশ্যক।
হাসনাত আব্দুল্লাহ সার্জিস নাসির পাটোয়ারীদের কিছু চিন্তা মন্তব্য যা ক্ষমার অযোগ্য। পিনাকী’রা মাশাআল্লাহ সুবহানআল্লাহ ইনকিলাব জিন্দাবাদ এসব বলে সুকৌশলে জাতিকে বিভাজন করছে। গোপন কথা গোপনই থাকতো এই পিনাকী হাসনাত আব্দুল্লাহকে দিয়ে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে জাতিকে উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করছে। অতি উদ্দেশ্যমুলক ভাবে আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে, কোথাও যেন নেই স্বাধীনতা। স্বাধীনতা কি শুধু ২৬শে মার্চ?
রাষ্ট্রের মুল স্তম্ভগুলো খুব দুর্বল হয়ে আছে, এগুলো মেরামত কিংবা শক্ত না করে, আফসোস আমাদের নেতারা ব্যস্ত এমপি মন্ত্রী হতে।
মনে রাখতে হবে রাষ্ট্র কিংবা জনগণের দায়বদ্ধতা এড়িয়ে বড় নেতা হওয়ার মাঝে কোন গৌরবের চিহৃ থাকে না। অনেক নেতারা নিজের চিন্তায় খুব ব্যস্ত কাগজের ফুলের মতো। কাগজের ফুল শোভাষ ছড়াতে পারে না, একটু বৃষ্টিতে ভিজে গেলে কাগজের ফুল কে খোঁজে পাওয়া যায় না।
মহান স্বাধীন দিবসের প্রাক্বালে জনাব তারেক রহমানকে সংগ্রামী সালাম, জাতীয় ঐক্যেকে সুদৃঢ় করার নিরলস সংগ্রাম তিনি চালিয়ে যাচ্ছেন। এই সংগ্রামে জনাব তারেক রহমান সফল হলে সুফল পাবে বাংলাদেশ। আমাদের গৌরবের মহান স্বাধীনতা দিবস অমর হউক।
লেখকঃ- মোঃ নিজাম উদ্দিন,সাবেক চেয়ারম্যান।