এজি লাভলু, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রাম কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনালে চাঞ্চল্যকর কিশোর হেলপার শিপন হত্যার রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলের কারণে তাকে তারই সহকর্মী সোহেল ইসলাম (১৯) নিষ্ঠুরভাবেহত্যা করে বলে তদন্তে বেরিয়ে এসেছে।
আজ ২৯ অক্টোবর এক প্রেস ব্রিফিংয়ে কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান বিপিএম এ কথা বলেন। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মেনহাজুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) উৎপল রায়, সদর থানার ওসি মাহফুজার রহমান প্রমুখ।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান বিপিএম লিখিত বক্তব্যে জানান, চলতি বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর কিশোর হেলপার শিপনের লাশ বাসের ভেতরে পাওয়া যায়। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে অপর বাসের হেলপার সোহেল ইসলাম, শহিদুল ও মোস্তফাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গতকাল রবিবার মূল আসামি কুড়িগ্রাম শহরের কাশিয়াবাড়ির হাল মাঝিপাড়ার গোলজার হোসেনের ছেলে সোহেল ইসলাম (১৯) কুড়িগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মোবাইল চুরির উদ্দেশে হত্যার ঘটনা ঘটিয়েছে বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে বলা হয়, ঘটনার রাতে কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনালে অবস্থিত ইদুল মিয়ার হোটেলে একসঙ্গে রাতের খাবার খান নিহত শিপন, তার বড়ভাই রিপন ও হত্যাকারী সোহেল ইসলাম। পরে ভোররাত ৪টার দিকে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলটি চুরির উদ্দেশে ঘুমন্ত শিপনের বাসে ওঠে সোহেল ইসলাম। পকেটে অবস্থিত মোবাইলটি বের করতে গেলে টের পায় শিপন।
এ নিয়ে দুজনের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। পরে ক্ষিপ্ত হয়ে সোহেল ইসলাম শিপনের গলায় গামছা পেঁচিয়ে তাকে চেপে ধরে। এ সময় নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে কিশোর শিপনের মৃত্যু হয়। ঘটনার পর মোবাইলটি নিয়ে বাস থেকে নেমে পালিয়ে যায় সোহেল ইসলাম।
এ ব্যাপারে মামলার যাবতীয় কার্যক্রম শেষে আসামি সোহেল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতে অল্প সময়ের মধ্যেই অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে বলে জানানো হয়।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০