মোস্তাকিম হোসেন,হিলি স্থলবন্দর সংবাদদাতা :
ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের পাইকারী বাজারে দাম অর্ধেকে এসে নেমেছে। প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ বন্দরের বিভিন্ন আড়ৎগুলোতে পাইকারী বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে। এরআগে কাঁচা মরিচ পাইকারী বিক্রি হয়েছিল ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে।
দীর্ঘ ৯ মাস বন্ধ থাকার পর হিলি বন্দর দিয়ে গত ৮ আগষ্ট থেকে কাঁচামরিচ আমদানি শুরু হয় এই বন্দর দিয়ে। কাঁচামরিচ আমদানি হওয়ার পর থেকেই বন্দরের বাজারে দাম কমতে শুরু করেছে।
১০ দিনে ( ১৭ আগষ্ট) পর্যন্ত হিলি বন্দর দিয়ে কয়েকজন আমদানিকারক কাঁচা মরিচ আমদানি করেন। ভারতের বিহার রাজ্যে থেকে এসব কাঁচামরিচ আমদানি করেন তারা। ১০ দিনের আমদানিতেই কেজিতে কমেছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন বলেন,দেশের বাজারে কাঁচা মরিচের বাজার ঊর্ধ্বগতির কারণে আবারো ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। হিলি স্থলবন্দরের কয়েকজন আমদানিকারক কাঁচামরিচ আমদানি করছেন। এতে হিলি বন্দরের পাইকারী বাজারে কাঁচা মরিচের দাম অর্ধেকে এসে নেমেছে। বর্তমানে প্রতিকেজি কাঁচামরিচ পাইকারী ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এখান থেকে কাঁচা মরিচ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠাচ্ছে পাইকাররা।
আামদানিকারক বাবলুর রহমান বলেন,সরকারী শুল্ক কম হলে দাম আরও কমবে।আমদানি বেশি হলে দাম ততই কমতে থাকবে।
এদিকে শুক্রবার সকালে হিলি বাজারের খুচরা কাঁচা মরিচ বিক্রেতা মনতাজ আলী জানান, প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
পানামা হিলি পোর্ট লিংক লিমিটেডের গণসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন মল্লিক প্রতাপ বলেন, প্রতিদিন গড়ে ১৫ থেকে ২৫ ট্রাক কাঁচা মরিচ আমদানি হচ্ছে। এরমধ্যে (১৬ ও ১৭ আগস্ট) দুইদিনেই ৪২ টি ট্রাকে ১৬৫ মেট্রিক টন কাঁচামরিচ আমদানি হয়েছে।
হিলি স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী কর্মকর্তা ইউসুফ আলী জানান, দেশের বাজার স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ব্যবসায়ীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে কাঁচামরিচ আমদানির আইপি দিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় । তারপর থেকেই হিলি বন্দরের আমদানিকারকেরা কাঁচা মরিচ আমদানি অব্যাহত রেখেছেন।