সাত্তার সিকদার, লোহাগাড়া, চট্টগ্রামঃ
স্বৈরচারী হাসিনা সরকারকে উৎখাত করতে প্রতিবাদী ছাত্র-জনতা ঝাঁপিয়ে পড়ে। স্বৈরচারী আওয়ামীলীগ সরকারের লেলিয়ে দেওয়া দানবদের বুলেট-বোমার আঘাতে শহীদের রক্তে রঞ্জিত হয় ঢাকাসহ বিভিন্ন রাজপথ এবং আহত হন অসংখ্য ছাত্র-জনতা। এরপরও স্বৈরচারী হাসিনা সরকারের তর্জন-গর্জনে ভীত-সন্ত্রস্ত না হয়ে প্রতিবাদী ছাত্র-জনতা ঝাঁপিয়ে পড়েন স্বৈরাচার সরকারকে উৎখাত করার জন্য।
অবশেষে স্বৈরচারী সরকারের মহানায়ক শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে পালিয়ে গিয়ে ভারতে আশ্রয় নেয়। ভারতে বসে তাঁর দোসরদের সহায়তায় নানারকম ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু বাংলার প্রতিবাদী ছাত্র-জনতা ওই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে অর্জিত গণঅধিকারের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে অঙ্গিকারবদ্ধ বলে মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
তিনি আরো বলেন, স্বৈরাচারী সরকারের আমলে নিন্মস্তর থেকে উচ্চস্তর পর্যন্ত সর্বত্র ছিল দূর্নীতি। পুলিশ বাহিনী ছিল ওই সরকারের লেলিয়ে দেয়া এক প্রকার দানব। সরকার পতনের পর তাতে পরিবর্তন ঘটেছে এবং দেশের মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
১১ সেপ্টেম্বর দুপুর আনুমাণিক ৩ টায় কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক টিম, চট্টগ্রাম ও উপজেলার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ লোহাগাড়ায় শহীদ ইশমামের কবর জিয়ারত ও পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করার পর স্থানীয় মাশাবি রেস্টেুরেন্ট চত্বরে এন.কে.ছিয়াম’র সঞ্চালনায়, বৈষম্যবিরোধী কোটা সংষ্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি,আবদুল্লাহ আল নোমান,তামিম মির্জা,হুমায়ন রশিদ সাব্বির,সৃজন সাকিব, আরিয়ান হাসান, মোহাম্মদ নোমান, মোহাম্মদ ফাহিম ,আমজাদ হোসাইন, জোবাইর হোসেন, রাকিবুল হাসান, মোহাম্মদ আমিন, মোহাম্মদ সামিসহ আরো অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০