জাবেদ ভূঁইয়া
মিরসরাই,চট্টগ্রাম।
ঢাকা-চট্টগ্রাম পুরাতন মহাসড়কের জোরারগঞ্জ বাজারের দক্ষিণ পশ্চিম প্রান্তে এই মসজিদের অবস্থান। যাকে স্থনীয়রা এক নামে “তাজমহল মসজিদ” নামে চিনেন। পুরো ১ একর জমির উপর একটি মসজিদ, দু’টি একাডেমিক ভবন, মসজিদের দু’পাশে দু’টি পুকুর। যাতে রয়েছে সানবাঁধানো ঘাট। আর মধ্যখানে রয়েছে সবুজ ঘাসের বেষ্ঠনি আর ফ্লোর করা বিশাল মাঠ।
সম্প্রতি সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় এমনি দৃশ্য। পুরো মসজিদটি সাদা রঙে আবৃত। এটি তৈরী করা হয়েছে ভারতের আগ্রার তাজমহলের আদলে। মসজিদটি ৩ গম্বুজ বিশিষ্ঠ যার চার পাশে সাঁই দাড়িয়ে আছে চারটি পিলার।
জানা যায়, মসজিদটির প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল বিগত বাংলা ১৯৯৭ সালের দিকে ইংরেজী হিসেবে দাঁড়ায় ১৯৯১ সাল। স্থানীয় ৬ নং ইছাখালি ইউনিয়নের বাসিন্দা মরহুম মৌলভী নজির আহমদের ছেলে প্রয়াত আলহাজ¦ সফিউল্লাহ তার নিজস্ব জমিতে এই মসজিদ্টি স্থাপন করেন। সে সময় তিনি প্রায়ই ভারতে সফরে যেতেন। তখন তিনি তাজমহলের সৌন্দর্যের প্রতি মুগ্ধহন। পরে তিনি মনে মনে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন যে, তাজমহলের আদলে দেশে একটি মসজিদ নির্মাণ করবেন। সেখানে এক প্রকৌশলীর সহায়তায় আগ্রার ওই পুরো তাজমহলের আদলে হার্ডবোর্ডে সম্পূর্ণ একটা নকশা তৈরী করেন। যা পরবর্তিতে তিনি স্বদেশে এসে প্রকৌশলীর সহায়তায় স্থানীয় বিল্ডংয়ের ঠিাকাদার তোফায়েলকে এটার নির্মাণ কাজের দায়িত্ব দেন। সে দীর্ঘ সময় ব্যয় করে অতপর সম্পূর্ণ মসজিদটি নির্মাণ করেন।
সূত্রে আরো জানা যায়, মসজিদটির নাম করণ করেন, তার ছেলে মরহুম ফখরুদ্দিনন মাহমুদ জামে মসজিদ প্রকাশ তাজমহল মসজিদ নামে। মসজিদের উত্তর এবং দক্ষিণ প্রান্তে দ্বিতল বিশিষ্ঠ দু’টি একাডেমিক ভবন নির্মাণ করেন। সেখানে বিগত ২০০০ সাল থেকে একটি দাখিল মাদরাসার কার্যক্রম শুরু হয়। যা তার পিতা মরহুম মৌলভী নজির আহমদের নামে নাম করণ করেন “মৌলভী নজির আহমদ আদর্ম দাখিল মাদরাসা হিসেবে।” বর্তমানে উক্ত মাদরাসার শিক্ষা কার্যক্রমে উপজেলার শ্রেষ্ঠ একটি বিদ্যাপীঠে পরিনত হয়েছে।
এদিকে মসজিদ ঘুরে দেখা যায়, মসজিদটি দোতলা বিশিষ্ঠ। যার নীচ তলায় পুরুষরা একসাথে জামায়াতে ২৫০ জন, আর দোতলায় অনুরুপ মহিলারাসহ মোট ৫০০ জন এভাবে নামাজ আদায় করতে পারবেন। দোতলায় উঠার জন্য মসজিদের ভেতরে দু’পাশে দু’টি সিড়িও রয়েছে।
এটি দেখার জন্য প্রতিজুমাবার ভিড় জমায় শতশত দর্শনার্থী।