স্টাফ রিপোর্টারঃ
সুনামগঞ্জে হাওর রক্ষা বাঁধের বর্ধিত সময় ৮ দিন পেরিয়ে গেলেও হাওর অরক্ষিত অবস্হায় আছে। এতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দুর্নীতি বাণিজ্য পরিলক্ষিত হচ্ছে।
শুক্রবার (৭ মার্চ) সকাল ১০ ঘটিকা হইতে দিনব্যাপী সুনামগঞ্জ জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাথারিয়া,পশ্চিম বীরগাঁও ও পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়নের অন্তর্গত ছাইলানি হাওর,খাই হাওর ও কাউয়াজুরী হাওরের হাওর রক্ষা বাঁধের ৫,৬,৭, ৪১, ৪২, ৪৩, ৪৪, ৪৫, ৪৬ ও ১৪ নং পিআইসি ও ২ টি স্হায়ী প্রকল্প পরিদর্শন করে এমন অনুভূতি ব্যক্ত করেন হাওর বাঁচাও আন্দোলন সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দরা।
পরিদর্শন শেষে নেতৃবৃন্দরা বলেন, হাওর এখনও অরক্ষিত রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড পিআইসি দের নিয়ে দুর্নীতি বাণিজ্য গড়ে তুলেছে। লোক দেখানো গণশুনানী, নির্ধারিত সময়ে কাজ শুরু না করা, ১৫ ডিসেম্বর নামমাত্র উদ্ভোধন ও পরিকল্পনা অনুযায়ী বাস্তবায়িত কাজের বিল প্রদান না করা সহ নানা অনিয়মে ঘিরে আছে বাঁধের কার্যক্রম।
সরজমিন পরিদর্শনে হাওর রক্ষা বাঁধের কাজ শোচনীয় অবস্হায় আছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন নেতৃবৃন্দরা। বাস্তবায়িত কাজে অনিয়ম ও গাফিলতির নানা চিত্র ফুটে উঠে। অপ্রয়োজনীয় পিআইসি গ্রহণ, প্রয়োজনীয় পিআইসি গ্রহণ না করা, বালি মাটির তৈরি বাঁধ, পিআইসি’র অসম্পূর্ণ কাজ,দূর্বাঘাস না লাগানো ও দুরমোছ না দেওয়া, সাইনবোর্ড ব্যবহার না করা, অতিরিক্ত বরাদ্দ ও বাঁধের মাটি দিয়ে সাজানো-গোছানো বাঁধ তৈরি সহ অসংখ্য গাফিলতি চোখে পড়ে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী ১৫ডিসেম্বর বাঁধের কাজ শুরু করে ২৮ ফেব্রুয়ারী কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ৬০ ভাগ কাজ শেষ হয়নি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে । তাই অবশিষ্ট কাজ সমাপ্তির তাগিদে আরো ১০ দিন সময় বর্ধিত করা হয় কিন্তু বর্ধিত সময়ের ৮ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো পড়ে আছে দূর্বাঘাসবিহীন বাঁধগুলো। তাছাড়া কাজের গুনগত মান অত্যন্ত নিম্ন।
পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন হাওর বাঁচাও আন্দোলন সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হক মিলন, অর্থ সম্পাদক মোঃ জিয়া উদ্দিন, নির্বাহী সদস্য ওবায়দুল হক মুন্সী ও শান্তিগঞ্জ উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু সঈদ।
হাওর বাঁচাও আন্দোলন সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হক মিলন, হাওর রক্ষা বাঁধের কাজ দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা কৃষকদের ফসলহানির শংকায় আছেন। বাঁধের কাজে মুখ খোলে কথা বলতে পারছে না কৃষকরা। ভয়ে বাঁধের খবর বলতে চায় না নাম অজ্ঞাত অসংখ্য কৃষক।
তিনি আরো বলেন, কৃষকদের ফসলহানি হলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অনিয়মও দুর্নীতির বিরোদ্ধে কৃষকদের নিয়ে আইনী ব্যবস্হা নেওয়া হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী (এসও) কাবিটা স্কিম বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কমিটির সদস্য সচিব এমডি মমিন মিয়া বলেন, আমাদের মাটি কাটার কাজ শেষ। দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘাস লাগানো শুরু হবে।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুকান্ত সাহা বলেন, হাওর রক্ষা বাঁধের মাটির কাজ সমাপ্ত। দূর্বাঘাস লাগানোর কাজ চলমান আছে। আশা করি আগামী ১০ তারিখের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে।