নেত্রকোনা প্রতিনিধি
নেত্রকোনা জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা দুর্গাপুরের প্রায় প্রতিটি গ্রামের জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের এই উপজেলার গ্রামগুলোতে নেই কোনো বিধিনিষেধ। লকডাউনের প্রভাব নেই বললেই চলে। জ্বরে আক্রান্ত অসংখ্য রোগী নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অবাধে সুস্থ ঘোরাফেরা করছে। অনেকে কবিরাজের দ্বারস্থ ঝাড়ফুঁকে সমাধান খুজতেছেন। দুর্গাপুর উপজেলার বিরিশিরি, উৎরাইল, শিরবির, দাখিনাইল, খালিশাপাড়া, মউ, কেরণখলা, আলমপুর, লক্ষীপুর, কুল্লাগড়া, কামারখালী, শিবগঞ্জ, বারইকান্দি, বুরুঙ্গা প্রভৃতি গ্রামে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে প্রায় প্রত্যেকটি গ্রামে চলছে জ্বরের ঢল। ক্ষোভ প্রকাশ করে কয়েকজন সচেতন ব্যক্তি বলেছেন, আমাদের কর্তাব্যক্তিগণ এখনো ঘুমিয়ে আছেন। গ্রামগুলোতে লকডাউনের কোনো প্রভাব নেই। নেই কার্যকর কোনো ব্যবস্থা। গ্রামে এমন অসংখ্য বাড়ি রয়েছে যেখানে সপরিবারে তারা জ্বরে আক্রান্ত অথচ তারা করোনা টেস্ট করাচ্ছে না। অবাধে ঘোরাফেরা করছে। গ্রামে বসবাস করাটা এখন সবচেয়ে ঝুঁকি মনে হচ্ছে। কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষগুলোর এইবিষয়ে সচেতনতা নেই বললেই বলে। জনপ্রতিনিধিগণ ছবিতোলার রাজনীতিতেই ব্যস্ত। এভাবে চলতে থাকলে প্রতেকটা গ্রামগুলো মৃত্যুপুরিতে পরিণত হবে। গ্রামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা নেই বললেই চলে। আমরা দ্রুত এই অবস্থার অবসান চাই।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০