নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
চকরিয়ায় সীমানা বিরোধের জেরে হামলায় অন্তঃসত্ত্বা মহিলাসহ ৩জন গুরুত্বর আহত হয়েছে। ১৩ অক্টোবর (বুধবার) ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ছাইরাখালীতে ঘটনাটি ঘটেছে।
এ ঘটনায় সরোয়ার আলম বাদী হয়ে ছাইরাখালী গ্রামের আমির হোসেনের পুত্র দেলোয়ার হোসেন (৬০), আমান উল্লাহর পুত্র নুরুল আবছার (২০), নুরুল হকের পুত্র ইব্রাহীম খলিল (৪০) সহ ১০জনকে আসামি করে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত চকরিয়ায় সিআর ১২০০/২০২১ মামলা দায়ের করেন।
আহতরা হলেনঃ মো সরোয়ারের স্ত্রী আয়েশা ছিদ্দিকা (৩০), মৃত আমির হোসেনের পুত্র ফজলুল হক (৭৫), ফজলুল হকের পুত্র মনির উদ্দিন (২৮)।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, বাদী মোঃ সরোয়ার আলমের পরিবারকে বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার জন্য স্থানীয় কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসী বিভিন্ন সময়ে হুমকি ধমকি দিয়ে আসছিল, তারই ধারাবাহিকতায় ঘটনারদিন স্থানীয় আমির হোসেনের পুত্র দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী সরোয়ার আলমের পিতা বৃদ্ধ ফজলুল হক ও ভাই মনির উদ্দিন কে মারধর করে গুরুতর আহত করে।
বাদী অভিযোগ করে বলেন- আমার
বৃদ্ধ পিতা ও ভাইয়ের শোর চিৎকারে আমার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী উদ্ধারের চেষ্টায় এগিয়ে এলে তাকেও মারধর করে গুরুতর আহত করে।
মারধরের আঘাতে অন্তঃসত্ত্বা
স্ত্রীর রক্তক্ষরণ হলে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিই। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আজিজনগর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করি। ২২অক্টোবর সন্ধ্যায় পরীক্ষা নীরিক্ষার পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক পেঠের সন্তান মারা গেছে বললে, সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে শিশুটিকে বের করা আনা হয়।
স্থানীয় দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী শাহিনা বেগম জানান, মারামারির ঘটনা হয়েছে বজারে, সেখানে কোন মহিলার উপর হামলা হয়নি।
স্থানীয় মোস্তাক আহমদের স্ত্রী খালেদা বেগম বলেন, মারামারির ঘটনায় বাচ্চা নষ্ট হয়নি। অন্য কোন কারণে পেটের বাচ্চা নষ্ট হতে পারে, এটি তদন্ত করলে আসল ঘটনা বেরিয়ে আসবে।
এদিকে এ ঘটনায় আইনী সহায়তা কামনা করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।