|| রাঙামাটি প্রতিনিধি ||
রাঙামাটির সাজেক ভ্যালীতে পাহাড়ী সন্ত্রাসীদের গোলাগুলির কারণে আটকে থাকা ৪৪০ জন পর্যটক বুধবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরের পর নিরাপত্তা বাহিনী ও পুলিশের বিশেষ স্কটের সহায়তায় নিরাপদে ফিরে গেছে। এখনও সেখানে অবস্থান করছে প্রায় ৫০ জন পর্যটক।
উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস)’র মধ্যে গোলাগুলির ঘটনায় নিরাপত্তাজনিত কারণে পর্যটক মুভমেন্ট বন্ধ রাখে। জেলা প্রশাসন উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল থেকে পুলিশ ও বাহিনীর সহায়তায় প্রায় ৪৪০ জন পর্যটককে সাজেক ভ্যালী থেকে প্রস্থানের ব্যবস্থা করে। পাহাড়ে চলমান সংঘাতময় পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা জনিত কারণে মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন বুধবার একদিনের জন্য সাজেক ভ্রমনে পর্যটকদের নিরুৎসাহিত করণে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। যা বুধবার পর্যন্ত বলবৎ ছিলো। বর্তমানে সাজেক ভ্যালীতে প্রায় ৫০ জন পর্যটক অবস্থান করছে।
মেঘ,পাহাড় আর ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা চাঁদের হাট
খ্যাত সাজেক ভ্যালীতে বর্তমানে নিরাপত্তা ঝুঁকি না থাকায় জেলা প্রশাসনের একদিনের ভ্রমণ নিরুৎসাহি করণের সময়সীমা বাড়ানো হয়নি। বৃহস্পতিবার থেকে আবারও আগের মতো দেশী-বিদেশী ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য সাজেক ভ্যালীর দরজা উন্মুক্ত থাকবে।
উল্লেখ্য মঙ্গলবার সাজেক ভ্যালীর শীপপাড়া এলাকায় হঠাৎ করে সন্তু লারমা সমর্থিত পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস) ও প্রসীত খীসা সমর্থিত ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) বন্দুকযুদ্ধে জড়িয়ে যায়। আধিপত্য বিস্তারের জন্য পাহাড়ের এই সন্ত্রাসী গ্রুপ দু’টি থেমে থেমে দিনব্যাপী গোলাগুলিতে লিপ্ত ছিলো। সন্ত্রাসীদের গুলি বিনিময়ের ঘটনায় দেশের বিখ্যাত পর্যটন নগরী সাজেক ভ্যালীসহ আশপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। গোলাগুলিতে পর্যটকবাহী প্রায় ১০টি গাড়ি সাজেকে ছেড়ে যেতে পারেনি। এ কারণে প্রায় ৫ শ পর্যটক ভয় ও আতঙ্কের মাঝে রাতে সাজেকে অবস্থান করতে বাধ্য হয়।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বুধবার বেলা ২টার পর পুলিশ ও সেনাবাহিনীর বিশেষ স্কটের সহায়তায় গোলাগুলির কারণে আটকে থাকা ৪৪০জন পর্যটক সাজেক ছেড়ে গেছেন। তবে তাদের মধ্যে প্রায় ৫০ জন পর্যটক এখনও সাজেকে রয়ে গেছে। পরবর্তী কোন ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরী না হলে, পর্যটক ভ্রমণে বিধি নিষেধ থাকবে না বলে যোগ করেন এ কর্মকর্তা। #