কাপাসিয়া (গাজীপুর) থেকে শামসুল হুদা লিটন:
৫ই আগস্ট ছাত্র-জনতার অভূতপূর্ব বিপ্লব ও গনঅভ্যুত্থানের মুখে স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের পলায়ন ও পতনের পর গঠিত অন্তবর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্দেশ্যে একাধিক কমিশন গঠন করেছেন। গঠিত কমিশন সমূহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কমিশন-সংবিধান সংস্কার ও শিক্ষা- সংস্কৃতি সংস্কার কমিশন।
বর্তমান বাংলাদেশ সংবিধানে এদেশের গণ মানুষের আশা-আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটেনি। এমতাবস্থায় বিদ্যমান সংবিধানে ইসলামী শিক্ষা ও ইসলামী সংস্কৃতির কোন সু-স্পষ্ট ব্যাখ্যা ও রূপরেখা না থাকায় চলমান শিক্ষা কারিকুলামে আমাদের অধিকাংশ মুসলিম সন্তানেরা সম্পূর্ণ বিজাতীয়দের শিক্ষা সংস্কৃতির অন্ধ অনুসরণ করছে।
বাংলাদেশ সংবিধানের ১৭ নং ও ২৩ নং অনুচ্ছেদে মুসলিম জনগোষ্ঠির শিক্ষা ও সংস্কৃতির বিষয়টি অস্পষ্ট রাখা জাতিকে ইসলাম শূণ্য করার এটি দূরভিসন্ধি ও বৈষম্যমূলক।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে গাজীপুর কাপাসিয়া দেওনা দাওয়াতুল হক মাদ্রাসায় কওমি মাদ্রাসা শিক্ষক পরিষদের মতবিনিময় সভায় কওমি মাদ্রাসা শিক্ষক পরিষদ বাংলাদেশের সভাপতি ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নায়েবে আমির অধ্যক্ষ মুহাম্মদ মিজানুর রহমান চৌধুরী পীর সাহেব দেওনা এসব কথা বলেন ।
আরো বক্তব্য রাখেন, মাওলানা আশেকে মোস্তফা, মাওলানা আতাউল হক জালালাবাদী, মাওলানা মুস্তাকীম বিল্লাহ হামিদী, মাওলানা দ্বীন মুহাম্মদ আশরাফ, মুফতি লুৎফর রহমান ফরায়েজী, মাওলানা জাকারিয়া, এডভোকেট মতিউর রহমান, মুফতি ইমরানুল বারী সিরাজী ও মাওলানা নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
তিনি অন্তবর্তীকালীন সরকার কর্তৃক গঠিত সংবিধান সংস্কার, শিক্ষা- সংস্কৃতি সংস্কার কমিশনের নিকট ইসলামী শিক্ষা ও ইসলামী সংস্কৃতিকে সংবিধানে সন্নিবেশ করার আহ্বান করেন।