রাকিবুল আওয়াল পাপুল, শেরপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে নালিতাবাড়ী উপজেলার দাওধারা গ্রামের মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে মোঃ ইসমাইল হোসেন (৪৪) ও কাটাবাড়ি গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ছেলে মোঃ হাসেম আলী (৩৫)।
২৮ মে ভোরে নালিতাবাড়ী থানা পুলিশ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে।
আজ ২৮ মে দুপুরে নালিতাবাড়ী থানা পুলিশের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক ও পুলিশ জানায়, সরকারের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান গত ২৬ মে নালিতাবাড়ীর দাওধারায় উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক প্রস্তাবিত পিকনিক স্পট পরিদর্শনে আসেন। এসময় আওয়ামীলীগ আমলের বনে দেয়া অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ ও অবৈধ দখল, পাথর এবং বালু উত্তোলন নিয়ে প্রশ্ন করায় স্থায়ীয় আওয়ামী দোষররা সাংবাদিকদের উপর ক্ষিপ্ত হয়। এছাড়াও দাওধারা পর্যটন কেন্দ্র স্থাপনের পক্ষ-বিপক্ষে লোকজন বিতণ্ডায় লিপ্ত হয়। যা একপর্যায়ে হাতাহাতিতে রূপ নেয়। একপর্যায়ে সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায় কতিপয় সন্ত্রাসী ব্যক্তিরা। এতে এখন টেলিভিশনের প্রতিনিধি জাহিদুল খান সৌরভ, বাংলা টিভির নাঈমসহ বেশ কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী আহত হন। এসময় সাংবাদিক সৌরভকে উপদেষ্টার গাড়িবহরের একটি গাড়িতে তুলে নিলে ওই গাড়ির উপরও চড়াও হয় তারা। পরে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনায় ২৭ মে রাতে সাংবাদিক জাহিদুল হক খান সৌরভ বাদী হয়ে নালিতাবাড়ী উপজেলার নয়াবিল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান তার ভাই নূরে আলম সিদ্দিকী শাহিনসহ ১৪ জনের নামে ও আরো ৩০ জনকে অজ্ঞাতনামাসহ মোট ৪৪ জনের বিরুদ্ধে নালিতাবাড়ী থানায় দ্রুত বিচার আইনে একটা মামলা দায়ের করে। এরপরই পুলিশের একাধিক টিম সারারাত উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। এসময় ২৮ মে ভোরে এজাহার নামীয় আসামি ইসমাইল হোসেন ও হাসেম আলীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহেল রানা গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলমান রয়েছে।