রাকিবুল আওয়াল পাপুল,শেরপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
শেরপুরের নকলা ও নালিতাবাড়ীতে ষাটোর্ধ দুই ব্যক্তি খুন হয়েছে। পৃথক এ খুনের ঘটনায় ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, জেলার নকলা উপজেলার গৌড়দ্বার ইউনিয়নের রুনীগাও মধ্যপাড়ায় আইয়্যুব আলী (৬৫) এর জবাই করা মরদেহ ১৪ নভেম্বর রাত ১২ টার দিকে একটি পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়।
আইয়্যুব আলী পেশায় একজন দর্জি ও রুনীগাওয়ের দছির উদ্দিন মেম্বারের পুত্র। সে প্রতিদিনের মতো নকলায় দর্জির কাজ করতে দোকানে যান। কিন্তু বাড়ি ফিড়তে দেরি হওয়ায় স্বজনরা তাকে খোজাখুজি করে পুকুরে তার মরদেহ দেখতে পায়।
স্বজনদের অভিযোগ, জমিজমা নিয়ে একইবাড়ির ভাতিজা মুকুল মিয়াদের সাথে আইয়ুব আলীর দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিলো। তারাই আইয়ুব আলীকে খুন করেছে। স্বজনদের এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে নিহতের ভাতিজা মুকুল মিয়া (৪৫) ও তার দুই ছেলে মহসিন হাসান (২৩) এবং জিহান হাসান (২০)কে আটক করে পুলিশ।
নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান ঘটনার নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিকভাবে গলায়, বুকে ও চোখের উপরে কোন ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে বলে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। পরিবারের প্রাথমিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা রাতেই তিনজনকে আটক করেছি। যাচাই বাছাই চলছে। পরবর্তী আইনী কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এদিকে নালিতাবাড়ী উপজেলার কালিনগর গ্রামে বাড়িতে বেড়া দেয়া নিয় ঝগরার এক পর্যায়ে মজিবর রহমান ওরফে ময়েজ উদ্দিন (৬৫)কে গতকাল বিকেলে তার শ্যালক ইউনুছ আলী লোহার রড দিয়ে আঘাত করে। এতে গুরুতরভাবে আহত হয় মজিবর। আশঙ্কা জনক অবস্থায় প্রথমে নালিতাবাড়ী উপজেলা হাসপাতালে ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে সে মারা যায়।
মজিবর রহমান উপজেলার আয়নাতলী গ্রামের মৃত মীরু শেখ এর ছেলে। সে দীর্ঘদিন ধরে শ্বশুর বাড়িতেই স্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছিলো।
পুলিশ ঘটনায় জড়িত শ্যালক ইউনুছ আলীকে গ্রেপ্তার করেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নালিতাবাড়ি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছানোয়ার হোসেন জানান, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলা গ্রহণ করে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।