স্টাফ রিপোর্টারঃ

সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়ন কমিটি গঠনের লক্ষ্যে বিএনপির কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় দলের তৃণমূল নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

শনিবার (২৮ জুন) বিকাল ৪ ঘটিকায় পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে
বীরগাঁও বাজারে এই কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়।

শান্তিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক, হাওর বাঁচাও আন্দোলন শান্তিগঞ্জ উপজেলা কমিটির সভাপতি ও দরগাপাশা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান হাজী জালাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে
কর্মীসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আনছার উদ্দিন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আনছার উদ্দিন বলেন, যারা দিনে বিএনপি আর রাতে আওয়ামীলীগ করেছে, আওয়ামীলীগের সব সুযোগ সুবিধা নিয়েছে তাদেরকে কোনোভাবেই কমিটিতে স্থান দেওয়া হবে না। যেহেতু তৃণমূলের নেতৃবৃন্দরা নিজেরাই নিজেদের কমিটি গঠনে ভোট ও মতামত প্রদান করবেন সেহেতু দালালরা কমিটিতে প্রবেশের কোনো সুযোগ নেই। যদি এমন কেউ কমিটিতে আসে তাহলে সাথে সাথে আমাদের জানাবেন, আমরা তাকে ফিল্টার করে দেবো।

তিনি আরো বলেন,‘স্বৈরাচার শেখ হাসিনার আমলে বাংলাদেশের মানুষের ভোটের কোনো অধিকার ছিলো না। আওয়ামীলীগ ভোটের অধিকার হরণ করে বাংলাদেশকে একটি পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণিত করেছিলো। তখনও শান্তিগঞ্জের কিছু সাহসী নেতাকর্মী পাঁচজন-ছয়জন করে মিছিল মিটিং করেছিলো। আওয়ামী অপশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদমুখর হয়েছিলো। বিনিময়ে তারা জেল-জুলুম ও হামলা-মামলার শিকার হয়েছিলো। কারাবরণ করেছিলো। আজ সময় এসেছে তাদেরকে মূল্যায়ন করার।

শান্তিগঞ্জ উপজেলার বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির ১ম যুগ্ম আহ্বায়ক, দরগাপাশা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান রওশন খান সাগর ও যুগ্ম আহবায়ক আবুল কাশেম নাঈম এর যৌথ সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক দুইবারের চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোঃ ফারুক আহমেদ।

প্রধান বক্তার বক্তব্য তিনি বলেন,খালেদা জিয়া এ দেশ থেকে পালিয়ে যাননি। হাসিনার সাথে আপোষও করেননি। তিনি দেশে থেকেছেন। কারাবরণ করেছেন। নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তারেক রহমানও নির্যাতিত হয়েছেন। আরাফাত রহমান খোকোর লাশ দেখতে দেয়নি জালিম হাসিনা। স্বৈরাচার হাসিনার সময় সব থেকে নির্যাতিত পরিবার ছিলো জিয়া পরিবার। আমাদের অনেক নেতাকর্মী জেল খেটেছেন, কারা বরণ করেছেন। মামলা খেয়ে দিনের পর দিন বাইরে রাত কাটিয়েছেন। আগামী কমিটিতে তাদেরকে মূল্যায়ণ করা হবে। বিএনপিতে ছিলেন না এমন কাউকে কমিটিতে রাখা হবে না।

কর্মীসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এটিএম হেলাল, সিলেট যুবদলের প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক স্বপন, সিলেট মহানগর ছাত্রদলের সহ সভাপতি শিহাব খান,শান্তুিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন, উপজেলা আহবায়ক কমিটির সদস্য মুজাহিদ উদ্দিন।

আরো বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপি নেতা শামছু মিয়া, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিয়া সাইখুল ইসলাম, সাবেক সহ সভাপতি জহুর মিয়া, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তোফায়েল আহমদ,উপজেলা বিএনপি নেতা হোসাইন আহমদ, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক ফরিদ আহমদ, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মনোয়ার হোসেন মিন্টু, উপজেলা বিএনপি নেতা আব্দুস ছালাম, সাইরুল ইসলাম,,উপজেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক ওবায়দুল করিম মাছুম, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক হারুনুর রশিদ, উপজেলা ছাত্রদল নেতা মানসুর আহমদ ও শুরুতে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করেন মাওলানা আফতর আলী।

এসময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হুিত ছিলেন উপজেলা আহবায়ক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক আখতারুজ্জামান বাবুল, গোলাম রাব্বানী, মোঃ নুর ইসলাম, মহির উদ্দিন ও জিয়াউল হক।

তাছাড়া আরো উপজেলা বিএনপি নেতা
সাবেক ইউপি সদস্য রাহুজ জামাল, বিএনপি নেতা সিরাজ খান, মোহাম্মদ আলী, রিপন আহমদ, উপজেলা যুবদলের সদস্য ছাব্বির আহমদ, শিব্বির আহমদ, মহিবুর রহমান মানিক,পাথারিয়া ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য মনসুর আহমদ, ছাত্রদল নেতা মোঃ আবু সাঈদ, সাইফুল ইসলাম সহ ইউনিয়ন বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।