মোঃ আবু সঈদ, স্টাফ রিপোটারঃ
সর্বগ্রাসী নাইন্দা নদীর ভয়াবহ ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার জয়কলস গ্রামের চলাচলের একমাত্র পাকা সড়ক। সড়ক না থাকায় ঝুকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোই এখন গ্রামবাসীর চলাচলের একমাত্র ভরসা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রতিদিনই ভাঙ্গছে নতুন নতুন এলাকা। ভাঙ্গন ঝুঁকিতে নির্ঘুম রাত কাটছে ২ শতাধিক পরিবারের। ভাঙ্গন রোধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে নদীর রাক্ষসী ভাঙনের কবলে বিলীন হয়ে যেতে পারে অধিকাংশ পরিবারের মাথা গোঁজার একমাত্র ঠাঁই।
সরেজমিন ভাঙ্গন এলাকা ঘুরে ও গ্রামবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, নাইন্দা নদী সংলগ্ন জয়কলস গ্রামের জনসাধারণের চলাচলের জন্য এলজিইডি নির্মিত পাকা সড়কটি ভাঙ্গনের মুখে পড়ে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। যোগাযোগের একমাত্র রাস্তা বিলীন হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঝুকিপূর্ণ সাঁকোই এখন তাদের চলাচলের একমাত্র ভরসা। সড়কের পাশাপাশি কয়েকটি বসত বাড়িও ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে। এই রাস্তাা দিয়ে শুধু জয়কলস নয় জগজীবনপুর গ্রামের স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে শ্রমজীবীসহ সর্বসাধারণ চলাফেরা করেন। সড়কের ভাঙ্গন এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক প্রকল্প গ্রহণ করে দ্রুত বাস্তবায়ন করার দাবি জানান গ্রামবাসী।
জয়কলস গ্রামের মানিক লাল চক্রবর্তী জানান, আমাদের চলাচলের একমাত্র সড়কটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় পুরো গ্রামবাসী হুমকির মুখে রয়েছেন। শুধু সড়কই নয় কয়েকটি বসত বাড়িতেও ভাঙ্গন ধরেছে। এভাবে ভাঙ্গন অব্যাহত থাকলে এই গ্রামের নদীর তীরবর্তী পাকা রাস্তাসহ প্রায় ২ শতাধিক বসতবাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
জয়কলস গ্রামের জয়ন্ত তালুকদার পুল্টন, মনোরঞ্জন দাশ, কাজল বিশ্বাস, গৌতম রায়,মনো রায়, শৈলেন বিশ্বাস ও সুজন তালুকদারসহ একাধিক ব্যক্তি নদী ভাঙন রোধে দ্রত ব্যবস্থা ও বিকল্প রাস্তাা তৈরি করে দেয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানান। তারা আরও জানান, এ ব্যাপারে কয়েকবার পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ ও উপজেলা প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করলেও ভাঙ্গন রোধে কোন পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়নি।
শান্তিগঞ্জ উপজেলার দায়িত্বে থাকা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী (এসও) মো.মমিন মিয়া বলেন, ভাঙ্গন কবলিত এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে৷
এ ব্যাপারে শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুকান্ত সাহা বলেন, ভাঙ্গনের বিষয়টি আমাদের নজরে আছে। ভাঙ্গন রোধে পদক্ষেপ নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবগত করা হয়েছে।