সাত্তার সিকদার, লোহাগাড়া, চট্টগ্রামঃ
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থানা থেকে পলাতক সাইফুলকে বাঁশখালী থেকে গভীর রাতে ধরলো লোহাগাড়া থানা পুলিশ।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে বাশঁখালী থানাধীন বাহারছড়া এলাকা হতে থাকে আটক করা হয়।
আটককৃত মোঃ সাইফুল ইসলাম সজিব (৩৫), লোহাগাড়া উপজেলার কলাউজান ইউনিয়নের (৭নং ওয়ার্ড) বলিপাড়ার নজির আহমদের পুত্র ।
পুলিশ জানায়, সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিবলী নোমান ও লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আরিফুর রহমানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এসআই জামাল হোসেন, এসআই শরীফুর ইসলাম পিপিএম (বার), এসআই মাসুদ আলম, এএসআই এসএম রাশেদ ও সঙ্গীয় ফোর্স সহ বাশঁখালী থানার বাহারছড়া পুলিশ ফাড়ির পুলিশের সহযোগিতায় বাশঁখালী থানাধীন বাহারছড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে লোহাগাড়া থানা থেকে পলাতক আসামী মোঃ সাইফুল ইসলাম সজিবকে গ্রেফতার করা হয়।
লোহাগাড়া থানার ওসি আরিফুর রহমান জানান, ৯ সেপ্টেম্বর (সোমবার) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে লোহাগাড়া থানা থেকে পালাতক নিয়মিত মামলার এজাহারনামীয় আসামী মোঃ সাইফুল ইসলাম সজিবকে বাশঁখালী থানার বাহারছড়া এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার উপর হামলা, থানার দালালি, মিথ্যামামলা দিয়ে নিরীহ মানুষকে হয়রানি, চাঁদাবাজি, মানুষকে জিম্মি করে অর্থ আদায়,জমিদখলসহ অসংখ্য অপকর্মের হোতা এই সাইফুল ইসলাম । ৫ আগস্ট থেকে আত্মগোপনে ছিলেন অন্তত তিনি।
সোমবার ভোরে তাকে কলাউজান বাংলাবাজার বাহাদুর পাড়ার আব্দুল আলমের বাড়ি থেকে আটক করে স্থানীয়রা। স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বিগত এক যুগ ধরে নিরীহ মানুষের উপর নিপীড়নের বিষয়ে স্বীকার করেন।
পরে তাকে রশি দিয়ে বেঁধে লোহাগাড়া থানায় সোপর্দ করে থানার সামনে অবস্থান নেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। কিছুক্ষণ পর পুলিশ হেফাজতে থাকা সাইফুল পালিয়ে গেছে বলে পুলিশ জানায়। এসময় টাকার বিনিময়ে চিহ্নিত যুবলীগ ক্যাডার সাইফুলকে ছেড়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ তুলেন বিক্ষুব্ধ জনতা।
এই খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করে বিক্ষুব্ধ জনতা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতা ও সাইফুলের দ্বারা গত এক যুগ ধরে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ লোহাগাড়া থানা ঘেরাও করার ঘোষণা দেয় এবং সাইফুলকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশকে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেয় তারা।
এ ঘটনায় ওসিসহ ৪ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়।