স্টাফ রিপোর্টারঃ
বান্দরবানের লামা উপজেলার আজিজনগর ইউনিয়নের ৬ গ্রামের জনগন। অতিষ্ট হয়ে উঠেছে তাদের জনজীবন। বিদ্যুতিক লো ভোল্টেজের কারনে বাড়ির লাইট জ্বলছেনা, পাখাও ঘুরছেনা। পানির মোটর চালানোতো স্বপ্নের মতো হয়ে গেছে তাদের জন্য। ফলে পানি সংকটেও পড়ে যাচ্ছে অনেক পাহাড়ি এলাকার মানুষ।
সরেজমিনে লামার আজিজনগর মুসলিম পাড়ায় গিয়ে দেখা যায়, পানির মোটর তো দূরের কথা,তাদের লাইট-ফ্যানই চলছে না। ভাড়ায় জেনারেটর নিয়ে এসে খাওয়ার এবং ব্যবহারের পানি তোলছে এলাকার লোকজন।
মুসলিম পাড়া এলাকার বাসিন্দা মাস্টার মহসিন বলেন, আমরা দুঃখ-কষ্ট লাগবের জন্য বিদ্যুতের সংযোগ নিয়েছি। এখন দেখছি দুঃখ-কষ্ট আরো বেড়ে গেলো। বিদ্যুতের যথাযথ ব্যবহার আমরা করতে পারছি না কিন্তু মাস শেষে বিদ্যুৎ বিল ঠিকই গুনতে হচ্ছে।
হিমছড়ি এলাকার বাসিন্দা আব্দুস শুক্কুর বলেন, ‘রমজান মাসে মসজিদে তারাবী নামাজ পড়তে গিয়ে বিদ্যুতিক সমস্যার কারনে কতোই না কষ্ট পেয়েছি। ফ্যান তো দূরের কথা লাইটেই জ্বলে না। অন্ধকারেই তারাবীর নামাজ পড়েছি রমজান মাস পুরাই। এখনো মসজিদের ফ্যান চলেনা, বাতিও জ্বলে না।
একদিকে প্রচন্ড গরম অন্যদিকে বিদ্যুতিক লো ভোল্টেজের সমস্যায় জর্জরিত।
ওভার লোডিও বা পরিমানের চেয়ে বিদ্যুতিক সংযোগ বেশি হওয়াতে এই সমস্যার হচ্ছে বলে জানান এলাকাবাসীরা। যেখানে একটি ১০০ কেভির ট্রান্সফরমারে একশ সংযোগের বেশি থাকার কথা না সেখানে শুধু হিমছড়ি পাড়া, মুসলিম পাড়া, তেলুনিয়া পাড়া এবং মিশন পাড়া নিয়ে বর্তমানে প্রায় ৪০০শ সংযোগ বিদ্যমান। ফলে বিদ্যুৎ নিয়ে দূর্ভোগ পোহাচ্ছে অত্র গ্রামের মানুষগুলো। তাছাড়াও আজিজনগর ইউনিয়নের সন্দীপ পাড়া ও হরিণমারা এলাকার জনগনও একই সমস্যায় পড়েছে।
এ ব্যাপারে দ্বায়িত্বরত চকরিয়ার আবাসিক প্রকৌশলী গীতি বসু চাকমা বলেন, ‘মূলত বিদ্যুতিক মূল লাইনের তার থেকে সাব লাইনগুলোর দূরত্ব বেশি হওয়াতে ভোল্টেজ লো হয়ে গেছে।’
পিডিবি কক্সবাজারের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার (এক্সইএন) কাদের গনি বলেন, ‘বিষয়টি আমার নলেজে আছে। আশা করছি এটা নিয়ে খুব দ্রুত কাজ শুরু হবে।’
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০