সাফওয়ান আল আজিজ,বিশেষ প্রতিবেদকঃ
রাস্তার অর্ধেকটা দখল করে চলছে বেচাকেনা! সামনে আটকে রয়েছে শত শত গাড়ি। কারোই কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই সেদিকে। সড়কে সৃষ্ট যানজট দেখেও না দেখার ভান করছে দোকানিরা। পুরো রাস্তা জুড়ে চোখে পড়বে দোকানীদের দখলের এই মহড়ার নমুনা । ফলে ৫ মিনিটের রাস্তা পার হতে সময় চলে যায় ১০ হতে ১৫ মিনিট ।
বুধবার কক্সবাজার শহরের বাজার ঘাটা গিয়ে দেখা যায়,
সড়কের অর্ধেক অংশ দখল করে বসেছে কাঁচাবাজার।
সড়কটি অবৈধ দখলের কারণে যানবাহন চলাচল স্থবির হয়ে পড়েছে ।
শুধু রাস্তা দখল করেই শেষ নয়, মানুষের হাঁটাচলা করার ফুটপাত পর্যন্ত দখল করে রেখেছেন খুচরা তরকারি, শাক ও সবজি বিক্রেতারা। যদিও রাস্তার পাশে ভিতরের গলিতে রয়েছে স্থায়ী একটি বাজার। কিন্তু ব্যবসায়ীরা এই বাজারে না বসে রাস্তাকেই বাজার বানিয়ে ফেলেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ও গাড়ি চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাস্তা দখলের কারণে তাদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে পড়ে থাকতে হয়। সকাল ৭টায় বসা এই বাজার চলে রাত পর্যন্ত।
যদিও রাস্তাটিতে যানজট ও গাড়ির চাপ কমাতে পৌর মেয়রের তত্ত্ববধানে মুদি দোকান ও পাইকারি তরকারি ব্যবসায়ীদের জন্য রং দিয়ে মালামাল বেচাকেনার জায়গা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে ।
টমটম চালক বছির মিয়া প্রতিবেদক কে বলেন, “রাস্তা দখলের কারণে অাই বি বি রোড থেকে মাছ বাজার পয়ন্ত দীর্ঘ যানজট লাইগা থাকে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বইসা থাকতে হয়।
রিকশা চালক সাজ্জাদ প্রতিবেদক কে বলেন, “এভাবে রাস্তা দখল কইরা রেখে ব্যবসা করানএইটা কোন দেশের আইন। কেউ কিছু বলে না। রাস্তা হইছে গাড়ি চলনের জন্য কিন্তু তারা রাস্তাকে বাজার ও গাড়ির থেকে মালামাল নামানোর জায়গা বানিয়ে রাইখা দিছে। এমন যানজটের ঠেলায় আমরা বাঁচি না।”
বড় বাজারের প্রতিদিনের ক্রেতা শিহাব বলেন, মেয়র রমজানে রং দিয়ে মুদি ও কাচাঁ তরকারি ব্যবসায়ীদের জন্য নিদিষ্টভাবে জায়গা নির্ধারণ করেছে যাতে করছে যানজট নিরসনের জন্য। কিন্তু মাসের পর মাস ধরে রাস্তা অবৈধভাবে দখল করে ব্যবসা চালাচ্ছে মুদি ও কাঁচা বাজারের অাড়ৎদারেরা।
খোঁজ-খবর নিয়ে জানা যায়, বড় বাজারের চলাচল রাস্তা গুলো দখল মুক্ত রাখতে কয়েকবার পৌরসভা ও জেলা প্রশাসক এর নিয়োজিত ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান চালিয়েছে । কিন্তু ফলাফল বরাবরই শূন্য রয়েছে বরং বাজার কর্তৃপক্ষ চেষ্টা করছেন আরও রাস্তা দখল করে বাজারের পরিধি বাড়াতে।
স্থানীয় বাসিন্দা রাকিব বলেন, এখনকার স্থায়ীয় বাজারটি আগে রাস্তা ছিল। এভাবে রাস্তায় বাজার বসিয়ে এখন স্থায়ী বাজার বানিয়ে ফেলেছে। ব্যবসায়ীরা এবারও চেষ্টা করছে রাস্তা দখল করে বাজার বাড়াতে।
তরকারি বিক্রেতা সোহেল মিয়া প্রতিবেদক কে বলেন, রাস্তা নয়, বাজার উচ্ছেদ করে রাস্তা বড় করা হয়েছে। এখন আমরা বসব কোথায়? তাই রাস্তাই এখন বাজার।
তবে সচেতন মহল দাবী করেন জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও পৌর প্রশাসকের উদ্যোগে কাঁচা তরকারী ও মুদি দোকানীদের মালামাল বেচাকেনার জায়গা চূড়ান্তভাবে নির্ধারণ করে দিলে তবে এইসব সমস্যা অচিরে সমাধান করা সম্ভব ।।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০