মোঃ শিবলী সাদিক, রাজশাহী।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) বিভিন্ন বিভাগে অস্থায়ী ও দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে নিয়োজিত কর্মচারী ছাঁটাই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে রাসিকের কয়েকটি বিভাগের ১২০ জন মাস্টার রুল কর্মচারীকে ছাঁটাই করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সমন্বিত নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প থেকে ৫৯ জন, স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে ২৭ জন এবং নিরাপত্তা বিভাগ থেকে ২৫ জন কর্মচারীকে ছাঁটাই করা হয়েছে বলে জানা গেছে। রাসিকের সব বিভাগ ও শাখায় থাকা উদ্বৃত অস্থায়ী জনবল কমিয়ে ব্যয় ভারসাম্য আনা হবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের অস্থায়ী জনবল যৌক্তিকীকরণ কমিটির প্রধান ও সচিব (উপ-সচিব) মো. মোবারক হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, রাসিকের বিভিন্ন বিভাগে উদ্ধৃত অস্থায়ী জনবল রয়েছে। যাদের একটা বড় অংশ দৈনিক মজুরি ভিত্তিক। তারা রাসিকের বিভিন্ন বিভাগে কাজ করেন। কিছু জনবল আছে যারা কাজ করেন না বা হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে অফিস ত্যাগ করেন । তবে মাসের শেষে এসে বেতন ভাতা নিয়ে যান। সে কারণে উদ্বৃতসহ বিভিন্ন বিষয়ে অভিযোগকৃত এসব জনবলের একটা অংশকে ছাঁটাই করার প্রক্রিয়া চলমান আছে।
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের ফলে সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন আত্মগোপন করেন। গত ১৯ আগস্ট সরকারি আদেশে রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার অতিরিক্ত সচিব ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর রাসিকের প্রশাসকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। গত ২০ আগস্ট মেয়র ও কাউন্সিলরবিহীন রাসিক পরিচালনার জন্য বিভিন্ন কমিটি গঠন করা হয়। এসব কমিটির একটি হলো অস্থায়ী জনবল যৌক্তিকীকরণ কমিটি। রাসিকের সচিব মো. মোবারক হোসেন এই কমিটির সভাপতি।
রাসিকের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রতিষ্ঠান হিসেবে রাজশাহী সিটি করপোরেশনে দৈনিক মজুরিভিত্তিক ও অস্থায়ী কর্মচারী নিয়োগের প্রচলন চলে আসছে ১৯৮৭ সালে সিটি করপোরেশন ঘোষণার পর থেকে। নগর সংস্থার স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও বিভিন্ন প্রকল্প খাত ছাড়াও ওয়ার্ড কার্যালয়গুলোর অধীন কর্মচারিদের একটা বড় অংশই প্রয়োজনের চেয়ে দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে কাজ করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অস্থায়ী জনবল যৌক্তিকীকরণ কমিটির প্রধান ও রাসিকের সচিব মোবারক হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ইতোমধ্যে ১২০ জন অস্থায়ী কর্মচারীকে ছাঁটাই করা হয়েছে। ধাপে ধাপে আরও ছাঁটাই হবে। তবে সবাইকে ছাঁটাই করা সম্ভব নয়। কারণ এতে রাসিকের সেবা কার্যক্রম পরিচালনায় নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। যারা অপরিহার্য তাদের ছাঁটাই না করার চেষ্টা করা হবে।