✍️মোঃ রাজন হোসাইন,রায়পুর :
রায়পুর পৌরসভা কার্যালয়ের অফিশিয়াল ফেসবুক পেইজে এখনো পিন করে রাখা হয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা ও সাবেক মেয়র গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাটের একটি ভিডিও বার্তা।
সরকারি প্রতিষ্ঠানের পেজ হিসেবে এটি শুধু পৌরসভার তথ্য প্রচার এবং নাগরিক সেবা বিষয়ক বার্তা প্রকাশের জন্য ব্যবহার হওয়ার কথা থাকলেও, সেখানে দলীয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত একজন সাবেক মেয়রের ভিডিওকে ‘পিন করা’ অবস্থায় রাখা অনেকের কাছেই আচরণবিধি পরিপন্থী ও অনৈতিক বলে মনে হচ্ছে।
ভিডিওটি এখনো পিন করা, চলমান রয়েছে অফিসিয়াল পোস্টিং :
রায়পুর পৌরসভার ফেসবুক পেইজটি নিয়মিত আপডেট হচ্ছে—বিভিন্ন কার্যক্রম, উন্নয়নমূলক তথ্য, সেবা-সংক্রান্ত ঘোষণা ইত্যাদি পোস্ট করা হচ্ছে। অথচ এর মাঝে পিন করা ভিডিও হিসেবে দলীয় সাবেক মেয়রের বক্তব্য প্রদর্শন একটি সরকারি প্ল্যাটফর্মের নিরপেক্ষতা ও গ্রহণযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
স্থানীয় সচেতন নাগরিকদের অনেকেই মনে করছেন—
> “সরকারি অফিসের পেইজে কোনো ব্যক্তি বা দলের প্রচারমূলক বার্তা থাকার সুযোগ নেই। সেটা যেই হোক, এভাবে পোস্ট রেখে দেওয়া সাধারণ মানুষের মাঝে বিভ্রান্তি তৈরি করে।”
❗ সরকারি পেইজে নিরপেক্ষতা থাকা উচিত :
সরকারি প্রতিষ্ঠানের সোশ্যাল মিডিয়া পেইজ মানে রাষ্ট্রীয় স্বত্বাধিকার সম্পন্ন প্ল্যাটফর্ম, যেখানে কোনো দলের, ব্যক্তির বা নেতার প্রচারণা থাকা আইন ও বিধির পরিপন্থী।
বর্তমানে পৌরসভায় যিনি দায়িত্বে আছেন, তিনি সরকার নির্ধারিত প্রতিনিধি, এবং তার বা পূর্ববর্তী কারো ভিডিও পিন করা থাকলে সেটি ব্যবস্থাপনার দৃষ্টিকোণ থেকে ভুল হিসেবে গণ্য হয়।
কারা দেখভাল করছে এই পেইজ?
এ বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় অনেকেই জানতে চাচ্ছেন—
এই পেইজটি বর্তমানে কে বা কারা পরিচালনা করছে?
কেন এখনো পিন করা রয়েছে একটি রাজনৈতিক ভিডিও?
প্রশাসন এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না কেন?
️ জনগণের দাবি :
রায়পুরের অনেক সাধারণ নাগরিক, সচেতন মহল এবং তরুণ সমাজ এখন এক কণ্ঠে বলছেন—
> “সরকারি পেইজ সরকারি কাজেই লাগানো হোক। কেউ যদি ভিডিও রাখতে চায়, সেটা তার ব্যক্তিগত বা দলীয় পেইজে রাখুক। জনগণের টাকায় পরিচালিত একটি পৌর অফিসের মাধ্যম যেন কোনোভাবেই পক্ষপাতদুষ্ট না হয়।”
পৌরসভার মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানকে ঘিরে এমন বিতর্ক থাকাটা কাম্য নয়। তাই অনতিবিলম্বে পেইজটি থেকে পিন করা দলীয় ভিডিওটি সরিয়ে নিরপেক্ষতা বজায় রাখা এবং সাধারণ নাগরিকদের আস্থার জায়গা ধরে রাখা জরুরি।
সচেতন মহলের পক্ষ থেকে রায়পুর পৌর কর্তৃপক্ষের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ পুর্বক–জনগণের টাকায় গড়া প্রতিষ্ঠানটি যেন সকল নাগরিকের জন্য সমানভাবে কাজ করে, সেটাই প্রত্যাশা।