আবুল কালাম আজাদ, রামু :
রামু উপজেলাধীন চাকমার কুল ইউনিয়নের তেচ্ছিপুল ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাং হোছনের বিরুদ্ধে তার ছোট ভাই আলী হোছনের দোকানঘর ভাংচুর এবং আলী হোছন ও তার পরিবারকে অন্যায়ভাবে ঘর-ভিটাচ্যুত করতে চেষ্টা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।তারা উভয়ই স্হানীয় মৃত ফরুক আহমদের ছেলে।
সুত্রে প্রকাশ,গতকাল ৩০ অক্টোবর বুধবার রাত ১০ ঘটিকার সময় অভিযুক্ত মোহাং হোছন কোন ধরনের পূর্বনোটিশ ছাড়াই হাতুড়ি,খুন্তি সহকারে আলী হোছনের মালিকানাধীন দোকানঘরে অতর্কিতে আক্রমন করে দোকানের বেড়া ভাংচুর,মালামাল তছ-নছসহ প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন করে।এ সময় দোকানের ভাড়াটে মোহাং হোসেন ভয়ে স্হানত্যাগ করে এবং আলী হোছনের পরিবারের কেউ ঘটনাস্হলে এসে প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি বলে জানান তার পরিবারের সদস্যরা।দোকানভাড়াটে মোহাং হোসেনের সাথে আমাদের প্রতিনিধি যোগাযোগ করলে তিনি আলী হোছনই দোকানের মালিক এবং মাস শেষে তাকেই দোকানের ভাড়া পরিশোধ করেন বলে জানান।
আলী হোছন বলেন,"আমি একজন সামান্য পানের দোকানদার।আমার বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে অভিযুক্ত আমার বড় ভাই মোহাং হোছন,তার স্ত্রী রোজিনা আক্তারসহ তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা আমাদেরকে ঘর-ভিটা হতে উচ্ছেদ করার উদ্দেশ্যে ছলে বলে কৌশলে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করে আসছে।তারা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন অজুহাতে আমাকে এবং আমার স্ত্রীকে গালিগালাজ মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়।তারই ধারাবাহিকতায় গত ০৩/০৪/২০১৯ তারিখ আমার রুমে চালের ছাউনি দেওয়া কালে আমাকে এবং আমার পরিবারের সদস্যদেরকে লাঠিসোটা এবং অন্যান্য অস্ত্রশস্ত্র সহকারে আক্রমণ করে মারাত্মক জখম করে।এ ব্যাপারে আমরা রামু থানায় অভিযোগ করলে এস আই মং চাই স্থানীয় ইউপি সদস্য মোস্তাক আহমেদ কে বিষয়টি মীমাংসা করে দেওয়ার দায়িত্ব দেন।তার রায় মেনে মেনে নিয়েআমরা শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছি।বড় ভাইকে সম্মান দেখিয়ে তার কথামত সামান্য দোকানটা নিয়েই কষ্টে-সৃষ্টে কোনরকম সংসার চালাচ্ছি।অবশেষে সেটাও কেড়ে নিয়ে আমাকে ঘড়-ভিটা থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।এ বিষয়ে জানার জন্য মোস্তাক মেম্বারের মুঠোফোনে কল দিলে তিনি রিসিভ করেন নি।
এ ব্যাপারে সুষ্টু তদন্ত সহকারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ভুক্তভোগী মোহাং হোসেন প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০