মো:জাবেদুল আনোয়ার
স্টাফ রিপোর্টার কক্সবাজার।
আজ (১জুলাই ) সকাল ১০ টায় রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের হলরুমে ২৪৬ জন কৃষক কৃষাণী নিয়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন কৃষি অফিসের সহযোগিতায় কৃষি উপকরণ বীজ- সার নারিকেল চারা বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু মো: ইসলাম নোমান , বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন প্রতিনিধি আবু আইয়ুব আনছারী, জাগের আহম্মদ,ইয়াসমিন আক্তার মুন্নী , মালেকা বেগম প্রমুখ।
কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন উপসহকারী কৃষি অফিসার ওবাইদুল হক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কৃষি উপকরণ বীজ- সার নারিকেল চারা বিতরণ কর্মসূচিতে ২৪৬ জন কৃষক কৃষাণী অংশগ্রহণ করেন শেষে প্রত্যেক কৃষক কৃষাণীকে বিনামূল্যে ৫ কেজি আমন ধানের বীজ,১০ কেজি ডিএপি সার এবং ১০ কেজি এমওপি সার, নারিকেল চারা,তালের চারা,সবজির বীজ বিতরণ করা হয়।
বিতরণ কর্যক্রম অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন,কৃষি আমাদের দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড। আমাদের দায়িত্ব শুধু কৃষকদের সহায়তা করাই নয় বরং তাদের জীবনমান উন্নত করা এবং টেকসই কৃষি উন্নয়নের জন্য কাজ করা।
তিনি বলেন, দেশের জনসংখ্যার একটি বড় অংশ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। বাংলাদেশে কর্মসংস্থানের সবচেয়ে বড় খাত হচ্ছে কৃষি। আমাদের মোট শ্রমশক্তির একটি বিশাল অংশ প্রায় ৪০.৬২ শতাংশ এখনো কৃষি ক্ষেত্রে নিয়োজিত।
বক্তারা আরো বলেন, কৃষি খাতে চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনার সংমিশ্রণ রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন, ভূমির অবক্ষয়, কৃষি উৎপাদনে নতুন প্রযুক্তি এবং গ্রামীণ অর্থনীতির রূপান্তর-এসবই আমাদের সামনে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। মেধা, উৎসাহ এবং সেবার মনোভাব এই খাতকে আরও উন্নত করবে। আমরা এলাকার সন্তান হিসেবে কৃষকদের জীবনমান উন্নয়ন তথা কৃষিক্ষেত্রের সার্বিক উন্নয়নে কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন হয়ে উঠবেন নেতৃত্বের আলো।
সভাপতির বক্তব্যে কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন উপসহকারী কৃষি অফিসার মো: ওবাইদুল হক বলেন, সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে মাঠ পর্যায়ে কার্যক্রমের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে ও তথ্যের মাধ্যমে কৃষক কৃষাণীর উপকারী দিক তুলে ধরে আসতেছি।বর্তমান যুগ তথ্য ও প্রযুক্তির। তথ্যপ্রযুক্তির উৎকষতার এই যুগে সোশ্যাল মিডিয়ার গুরুত্ব অনস্বীকার্য। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আমাদের জীবনকে সহজ করেছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০