শামসুল হুদা লিটন:
গাজীপুুর -৪ (কাপাসিয়া) সংসদীয় আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি থেকে সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে দলীয়ভাবে মনোনীত হয়েছেন জনাব শাহ রিয়াজুল হান্নান রিয়াজ। রিয়াজ সাহেব দলীয় মনোনয়ন পাওয়ায় ফেসবুকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন একই আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী জনাব সালাউদ্দিন আইউবী সাহেব।
সালাউদ্দিন আইউবী আজ রাতে তাঁর ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন। সালাউদ্দিন আইউবী তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, “শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন রিয়াজ ভাই৷
গাজীপুর—৪ (কাপাসিয়া) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন কাপাসিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি এবং জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জনাব শাহ রিয়াজুল হান্নান।
ঐতিহ্যবাহী পরিবারের সন্তান রিয়াজ ভাইকে ব্যক্তিগতভাবে আমি শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আমার সৌভাগ্য—ঐতিহ্যবাহী এই রাজনৈতিক পরিবারের তৃতীয় ধারার সাথে নির্বাচনের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনায় ভিন্ন ভিন্ন চিন্তা ও দর্শন নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক দল থাকবে। আমরা আমাদের রাজনৈতিক চিন্তাধারা জনপরিসরে তুলে ধরব; দিনশেষে জনতাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে ইনশাআল্লাহ ।
রিয়াজ ভাই, তার দল এবং দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি শুভেচ্ছা ও শুভকামনা। আশা করছি, আমাদের সংসদীয় আসনকে বাংলাদেশের বুকে উদার, সহনশীল ও গণতান্ত্রিক হিসেবে তুলে ধরতে পারব। রাজনীতিতে সৃষ্টিশীলতার নজির দেখাবেন। নতুনত্বকে আলিঙ্গন করবেন।”
বন্ধুপ্রতীম রাজনৈতিক দলের মনোনীত সংসদ সদস্য পদ প্রার্থীকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানানোর বিষয়টি মানুষ ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। অনেকেই ইতিবাচক মানুষিকতাকে রাজনৈতিক শিষ্টাচার, উদারতা ও সহনশীলতার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে প্রশংসা করেছেন। অনেকেই এ ধরনের রাজনৈতিক সহনশীলতাকে ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখছেন। উদারতা ও সহনশীলতার দৃষ্টান্ত হোক আগামী দিনের রাজনীতির পাথেয়।
আসলে রাজনৈতিক সহনশীলতা একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ভিন্ন মত ও আদর্শের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করার মানসিকতা বহিঃপ্রকাশ বটে।
সহনশীলতা রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা ও সম্মান নিশ্চিত করে এবং গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করে। রাজনৈতিক সহনশীলতার অভাব দেশে সংঘাত ও সহিংসতার জন্ম দেয়, তাই স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য এর গুরুত্ব অপরিসীম।
 রাজনৈতিক সহনশীলতা একটি আদর্শ গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি, যেখানে বিভিন্ন মতাদর্শের মানুষ তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারে এবং একে অপরের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে।
 এটি রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেকার বিভেদ ও সংঘাত কমিয়ে আনে, যা দেশের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
সহনশীলতার সংস্কৃতি দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনে, যা অর্থনৈতিক ও সামাজিক সমৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য।
রাজনীতিতে সততা, সহনশীলতা এবং দায়িত্বশীলতা থাকা জরুরি। এটি শুধুমাত্র ক্ষমতা দখলের লড়াই নয়, বরং আচরণ ও নৈতিকতার প্রতিফলন।
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সহনশীলতার অভাব থাকলে সংঘাত ও সহিংসতার ঘটনা ঘটে, যা সমাজের শান্তি নষ্ট করে।
পারস্পরিক দোষারোপ এবং প্রতিহিংসার রাজনীতি সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি করে।
রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত নিজেদের মধ্যেকার মতপার্থক্য ভুলে সংঘাতের পরিবর্তে সহনশীলতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার সংস্কৃতি গড়ে তোলা।
 বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক সমাজ বিনির্মানে দলীয় নেতৃবৃন্দকে আরো বেশি  গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং রাজনৈতিক শিষ্টাচার মেনে চলা প্রয়োজন।