|| রাঙামাটি প্রতিনিধি ||
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের পক্ষে কাজ করায় জেলার কাউখালী উপজেলার বড় আমছড়ি এলাকা থেকে অপহৃত উপজাতীয় ৩ জন গ্রামবাসীকে বুধবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তল্লাশী অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। সেনা অভিযানে উদ্ধার ৩ জন হলেন, চাখিয়াই মং মারমা (২২), বাদো মারমা (৩০) ও চিংথোয়াই প্রু মারমা (২৫)। আইনী প্রক্রিয়া শেষে দুপুরে এদেরকে স্বজনদের কাছ হস্তান্তর করা হয়।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে, নির্বাচন পরবর্তী শক্তি প্রদর্শনে পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা সোমবার জেলার কাউখালী উপজেলার কলমপতি ইউপি'র বড় আমছড়ি এলাকা থেকে ৩ গ্রামবাসীকে অপহরণের ২দিন পর বুধবার সেনাবাহিনীর অভিযানের মুখে অপহৃতদের ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এরপর সেনাবাহিনীর আভিযানিক টীম এদের স্থানীয় থানায় নিয়ে যায়। তারপর আইনী প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের হাতে তুলে দেয়। অপহরণের পরপরই তাদের উদ্ধারে সেনাবাহিনীর রাঙামাটি সদর জোন ও কাউখালী সেনা ক্যাম্পের সদস্যরা বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা পাহাড়েও শুরু হয়েছে। গত ৭ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর পার্বত্য শান্তিচুক্তি বিরোধী ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)'র অস্ত্রধারীরা ওই ৩ জন উপজাতীয় গ্রামবাসীকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে গেছিলো।
কাউখালী উপজেলার কলমপতি ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বড় আমছড়ি এলাকা থেকে তাদেরকে অপহরণ করে। অপহৃতরা হলো-চাখিয়াই মং মারমা, বাদো মারমা, ও চিংথোয়াই প্রু মারমা। অপহৃতরা সকলেই কলমপতি ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ড'র বাসিন্দা। তারা সকলেই আওয়ামীলীগ'র রাজনীতির সাথে জড়িত। নির্বাচন পরবর্তী ৩ গ্রামবাসী অপহরণ ঘটনায় কাউখালী উপজেলাসহ জেলার দূর্গম এলাকায় বসবাসরত সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
রাঙামাটি জেলা পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অপহৃতদের শারীরিকভাবে মেডিকেল টেস্ট ও আইনী প্রক্রিয়ার পর স্বজনদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০