|| মুহাম্মদ ইলিয়াস,রাঙামাটি ||
পাহাড়ের মেঘ মিতালী, হ্রদ, পাহাড় আর সবুজের টানে দেশি-বিদেশি ভ্রমণ পিপাসুরা রাঙামাটিতে আসতে শুরু করেছে । কোরবানির ঈদের লম্বা ছুটিতে পর্যটক সমাগমের সম্ভাবনা দেখে তাদের বরণে হোটেল, মোটেল, রিসোর্টসহ বিনোদন স্পট ও কেন্দ্রগুলো সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। চাঁদের হাট খ্যাত মেঘ মিতালীর রাজ্য সাজেক ভ্যালীতেও ভীড়বাট্টা বাড়বে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
পর্যটন শিল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, প্রতিদিন রূপ বদলানো রাঙামাটির দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে রাঙামাটি পর্যটন মোটেল, ঝুলন্ত সেতু, পুলিশ নিয়ন্ত্রিত পলওয়েল রিসোর্ট ও পার্ক, সেনা বাহিনী নিয়ন্ত্রিত আরণ্যক রিসোর্ট ও বিনোদন কেন্দ্র, উপজাতীয় গ্রাম, টুকটুক ইকোলজিকাল ভিলেজ, পেদা টিংটিং, সুবলং ঝর্ণা, রইন্যা টুগন, বড়গাঙ, রাজ বন বিহার, পাহাড়ের চুড়োয় স্থাপিত বৌদ্ধ মূর্তি, বড়াদম বিহার, পলওয়েল ও বড়াদম লাভ পয়েন্ট, নিসর্গ রিভার ভ্যালী, ফুরোমৌন পাহাড়, বগালেক, উপজাতীয় যাদুঘর, চাকমা রাজার বাড়ী, বার্গিলেক, রঙঢ়াঙ, আসামবস্তী ব্রিজ, পুরানবস্তী ওয়াই ব্রিজ, ব্রাহ্মণটিলা ব্রিজ, বরইছড়ি ওয়াগ্গা চা বাগান, কাপ্তাই নেভি ক্যাম্প রিসোর্ট, কর্ণফুলী পেপার মিল, কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র, বিলাইছড়ি ধুপপানি ঝর্ণা, কাট্টলী বিল জলাশয়, পাহাড়ি গ্রাম, আগর বাগান, বনভান্তের স্মৃতি স্তম্ভ, প্রাকৃতিক পাহাড়,পাহাড়ি ছড়া, নিভৃত অরণ্যে বন্য প্রানী ও পাখপাখালি কিচিরমিচির শব্দের পরিবেশ অন্যতম। এছাড়াও একই স্থানে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগের সুযোগ থাকায় মেঘের রাজ্য সাজেক ভ্যালিতেও পর্যটন মৌসুমসহ বিভিন্ন ছুটিছাটায় উপছে পড়া
ভীড় লক্ষ্য করা যায় । এবারওকোরবানির ঈদের ছুটির কারনে আগাম বুকিং শুরু হয়ে গেছে।
রাঙামাটি, কাপ্তাই ও সাজেকের সব ক'টি হোটেল, মোটেলও রিসোর্টে বুকিং শুরু হওয়ায় রিসোর্ট সংশ্লিষ্টরা আছেন খোশমেজাজে।
মেঘ ছোঁয়া উঁচু-নিচু পাহাড়-টিলা, ঘন অরণ্য আর স্বচ্ছ নীল জলের কাপ্তাই হ্রদের টানে সুযোগ পেলেই রাঙামাটি, কাপ্তাই ও সাজেকে পর্যটকদের আগমন শুরু হয়ে যায়। তার ব্যতিক্রম ঘটেনি এবারের কোরবানির ঈদেও। দেশী-বিদেশী পর্যটকের ভীড়-ভাট্টা বেড়ে যাওয়ায় হেটেল, মাোটেল, রিসোর্ট, গেস্ট হাউজ ও হাউজ বোটগুলোয় আগাম বুকিং নিচ্ছে বুঝেশুনে।
পর্যটকদের ভিড়ভাট্টা বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় হাটবাজারগুলোও জমে ওঠেছে। বিশেষ করে মৌসুমী ফল আর স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত কাপড়-চোপড় বেচাবিক্রি হচ্ছে দেদারছে। উপজাতীয়দের ঐতিহ্যবাহী খাবারের চাহিদাও বেড়ে গেছে। এক কথায় পর্যটন সংশ্লিষ্ট প্রতিটি সেক্টরে ব্যস্ততার ছাপ লক্ষ্যনীয়।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, বর্তমানে রাঙ্গামাটিতে পর্যটন শিল্প বান্ধ পরিবেশ আছে। আমরা সাধ্যমত সেবা দিতে প্রস্তুত। নিরাপত্তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
রাঙামাটি জেলা পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিষ্ট পুলিশসহ জেলা পুলিশ বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নিয়মিত টহলের পাশাপাশি বাড়তি লোকবল নিয়োজিত রয়েছে।
রাঙামাটি পর্যটন কর্পোরেশন'র ব্যবস্থাপক অলক বিকাশ চাকমা বলেন, এ পর্যন্ত ৫০ শতাংশ বুকিং হয়ে গেছে। আশা করি আরও বুকিং পাবো। আমরা পর্যটকদের বরণে পুরোপুরি প্রস্তুত।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০