রংপুর ব্যুরো:
রংপুরের কাউনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে আজেকা বেগম (২৩) নামের এক নারীর মরদেহ রেখে পালিয়েছে স্বামী ও স্বজনরা।
সোমবার (১৩ জুন) সকালে হাসপাতাল থেকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
উপজেলার টেপামধুপুর ইউনিয়নের হয়বৎখাঁ গ্রামের আবুল হোসেনের মেয়ে আজেকা বেগম। তিনি একই ইউনিয়নের আজমখাঁ গ্রামের জিয়ারুল ইসলামের দ্বিতীয় স্ত্রী বলে পুলিশ জানায়।
কাউনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. সায়েদ সাব্বির আহমদ জানান, গত রবিবার (১৩ জুন) রাত ৮টার দিকে অটোরিকশায় করে কয়েকজন মানুষ এক নারীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বুঝতে পারেন ওই নারী হাসপাতালে আসার আগেই মারা গেছেন। স্বামী ও স্বজনরা হাসপাতালে ওই নারীর লাশ রেখে পালিয়ে যান। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ তথ্য পুলিশকে জানানো হয়।
টেপামধুপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলাম জানান, তিন মাস আগে ওই নারীর সঙ্গে আজমখাঁ গ্রামের জিয়ারুলের বিয়ে হয়। পরিবারের লোকজন মেনে না নেওয়ায় জিয়ারুল তাকে নিয়ে কুড়িগ্রামের রাজাহাটে বোন জামাই আহম্মদ আলীর বাড়িতে থাকতেন। পারিবারিক কলহের জেরে সন্ধ্যায় ওই নারী গ্যাসের ট্যাবলেট খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে হাসপাতালে রেখে স্বজনরা পালিয়ে যায়।
রাজারহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু সরকার বলেন, ওই নারীর মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য জানা যায়নি।
কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুমুর রহমান জানান, হাসপাতালের জরুরি বিভাগে মরদেহ রেখে স্বামী-স্বজনরা পালিয়ে যান। পরে বিভিন্ন মাধ্যমে অনুসন্ধানের পর ওই নারীর পরিচয় শনাক্ত করে পুলিশ। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
রাফিউল ইসলাম রাব্বি / এনভি
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০