নিলয় ধর, স্টাফ রিপোর্টার(যশোর):
যশোরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পাঁচ মাস পর সংক্রমণের গতি কমতে শুরু করেছে। তবে, এই গতি সাময়িক বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন। এই অবস্থা ধরে রাখতে হলে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয়েছে। রবিবার যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনোম সেন্টার থেকে আসা ৪৭ টি ফলাফলের মধ্যে ৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে যশোর সদর উপজেলায় দুই জন রয়েছে। এছাড়া, অভয়নগরে ৩ ও মণিরামপুরের ১ জন।
চলতি মাসের ১৩ দিনে এক হাজার একশত ৫০ টি নমুনা পরীক্ষা করে তিনশত ৭৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে রিপোর্ট এসেছে। আগস্টের একই সময়ে ছয়শত চার জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। আগস্টের প্রথম ১২দিন নমুনা পরীক্ষা করা হয় এক হাজার ছয়শত ২৫টি।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রমতে, ১২ এপ্রিল মণিরামপুর উপজেলার একজন স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্তের মধ্য দিয়ে এই জেলায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। ওই মাসে জেলায় মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ৫৫ জন। মে মাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয় ১শত ৪জন। মার্চ থেকে মে পর্যন্ত জেলায় এক হাজার ৬শত ৯৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। জুনে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ছয়শ’ ছয় জনে। এই মাসে ২ হাজার চারশত ৯১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। জুলাই থেকে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকে। জুলাই মাস শেষে আক্রান্তে সংখ্যা দাঁড়ায় ১হাজার সাতশত ৮৫ জনে। আগস্টে এক হাজার চারশত ৮২ জন আক্রান্ত হন। এই মাসে নমুনা পরীক্ষা হয় চার হাজার পাঁচশত ৩৮টি।
সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন জানিয়েছেন, সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২০ শতাংশের কাছাকাছি ঘুরপাক খাচ্ছে। যা আগস্টের তুলনায় কিছুটা কম। এটাকে সাময়িক নিম্নমুখি বলে উল্লেখ করেছে তিনি। তবে দীর্ঘমেয়াদি করোনা সংক্রমণ কমানো জন্যে সবাইকে সরকারি বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে বলে জানান সিভিল সার্জন। তিনি বলেছেন, সংক্রমণ যদি ৫ শতাংশের নীচে আসে তখন বলা যাবে নিয়ন্ত্রণের কথা।
এই দিকে, ১০ মে থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেলায় ১৫ হাজার একশত ৮৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়া গেছে ১৪ হাজার ৪শত সাত জনের। আক্রান্ত হয়েছেন ৩হাজার ৬শত ৪৪ জন। সুস্থ হয়েছেন ১হাজার একশত ৭৩ জন। মৃত্যু হয়েছে ৪২ জনের।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০