জহুরুল ইসলাম, নীলফামারী প্রতিনিধি
নীলফামারীতে আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতাকর্মী বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। নীলফানারী জেলার ডিমলা উপজেলার আওয়ামীলীগ নেতাকে বরণ করে নেন ডিমলা উপজেলার বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম রব্বানী প্রধান।
উল্লেখ্য ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়ন মাঠে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) কর্তৃক আয়োজিত এক কর্মী সম্মেলনে আওয়ামী লীগ নেতা রবিউল ইসলাম সাহিন বিএনপিতে যোগ দেন। তিনি টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ মনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক বদিরুজ্জামান রানা ও টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইয়াছিন আলীসহ অন্যান্য নেতাকর্মীবৃন্দ।
আওয়ামীলীগ নেতা রবিউল ইসলাম বিএনপিতে যোগদানের কারণে বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। জানা গেছে, চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম সাহিন উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ মনোয়ার হোসেন এর মামাতো ভাই।
এ বিষয়ে ডিমলা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মনোয়ার হোসেন বলেন,রবিউল ইসলাম আগে আমাদের ছাত্র, যুব ও মূল দলের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। অজানা কোনো কারণে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েছেনে। এখন সে ভূল স্বীকার করেছেন এবং গতকাল রাতে ইউনিয়নের সকল নেতাকর্মীর সাথে বসলে তাকে ক্ষমা করে দেন নেতাকর্মীরা।
চেয়ারম্যান হওয়ার পরে দলের বড় কোনো পদে ছিলেন না। তার একটা জনপ্রিয়তা রয়েছে এজন্য তাকে আবারও দলে নেওয়া হয়েছে। তাছাড়া দলের হাইকমান্ড থেকে বলা হয়েছে এরকম যাদের জনপ্রিয়তা রয়েছে তাদের দলে ফিরে আনার জন্য।
দলে অনুপ্রবেশের বিষয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি আখম আলমগীর সরকার বলেন, বিএনপিতে সাধারন মানুষ যোগ দিতে পারেন তাতে কোনো সমস্যা নেই। তবে, আওয়ামীলীগের নেতৃত্ব ও বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেছেন তারা কখনো বিএনপিতে যোগদান করতে পারবেন না। এবিষয়ে মহাসচিবের কঠোর হুশিয়ারি রয়েছে।
উলেখ্য, ওই চেয়ারম্যানকে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আফতাব উদ্দিন সরকারের নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র ক্রয়ের টাকা দিতে ও পরবর্তীতে ওই প্রার্থীর হয়ে নির্বাচনী মাঠে কাজ করতে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এমপি মনোনীত প্রার্থী যুব লীগের ডিমলা উপজেলা শাখার আহবায়ক ফেরদৌস পারভেজ এর হয়ে বিভিন্ন সভা-সেমিনারে নেতৃত্ব দেন।