এম এ মোতালিব ভুঁইয়া :
দোয়ারাবাজার উপজেলার ৭নং লক্ষীপুর ইউনিয়নের মাঠগাও – দৌলতপুর সড়কের হাসান আলীর দোকান ও ইউনুছ আলীর বাড়ীর পাশের ব্রিজটির গোড়া থেকে মাটি সরে গেছে। ব্রিজের এপ্রোজে মাঠি না থাকায় ও মাঠগাও হতে দৌলতপুর গ্রাম পর্যন্ত ২ কিলোমিটার
রাস্তার বেহাল অবস্থা হওয়ায় জনসাধারণের যাতায়াতে মারাত্মক সমস্যা দেখা দিয়েছে। যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা করছে এলাকাবাসী। নির্বাচন পূর্ববর্তী সময়ে প্রার্থীরা বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিলেও নির্বাচনের পর বেমালুম ভুলে যায়। ফলে চরম দুর্ভোগের শিকার হয় দৌলতপুর গ্রামের শিক্ষার্থীসহ হাজারো জনগণ।
দীর্ঘদিন ধরে ব্রিজের গোড়ায় ও প্রায় দুই কিলোমিটার সড়কের মাটি না থাকায় যাতায়াত ও পণ্য পরিবহনে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন দৌলতপুর গ্রামের মানুষ। ব্রিজ এবং সড়কটি ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী হওয়ায় ডিজিটাল যুগেও উন্নয়নের ছোঁয়া মেলেনি।
জানা যায়, দোয়ারাবাজার উপজেলার মাঠগাও গ্রাম হতে দৌলতপুর গ্রাম পর্যন্ত ২ কিলোমিটার রাস্তা ইটের সলিং ও কাঁচা রাস্তা। রাস্তাটির ইটের সলিং সরে শতশত গর্তে পরিণত হয়েছে। উক্ত সলিংয়ের রাস্তা ভেংগে বেতগড়া ছড়া খালের ভিতরে চলে যাচ্ছে।রাস্তাটি মরণফাদে পরিণত হয়েছে।রাস্তার সামান্য অংশ ইটের সোলিং থাকলেও তা ইট সরে শত শত গর্তে পরিণত হশেয়েছে। আবার কাঁচা রাস্তাটি পাশে বেতগড়া ছড়া খালের পানির ঢেউয়ে ভাঙতে ভাঙতে এতই সরু হয়েছে, যে তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।৩০০ টি পরিবারের মধ্যে গ্রামে রয়েছে ১৭ টি আদিবাসী (গারো সম্প্রদায়) পরিবার,দৌলতপুর কারিতাস শিক্ষা কেন্দ্র । মাঠগাও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টির ক্যাচমেন্ট এলাকা নির্ধারণ করা হয়েছে দৌলতপুর গ্রাম। ফলে উক্ত গ্রাম হতে বিদ্যালয়টিতে আসতে ফাঁকা ও কাঁচা সরু রাস্তায় শিক্ষার্থীদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। শতশত শিক্ষার্থীরা উক্ত রাস্তা দিয়ে স্কুলে আসা-যাওয়া করে। ফলে বর্ষা মৌসুমে বই খাতা ভিজে কাদা মাটি মেখে তাদেরকে আসা যাওয়া করতে হয়। এ কারণে অনেক শিক্ষার্থী বর্ষাকালে বিদ্যালয়ে আসা বন্ধ করে দেয়। প্রতি ইউপি ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে প্রার্থীরা রাস্তাটি সংস্কারের জন্য বারংবার প্রতিশ্রুতি দিলেও নির্বাচন পরবর্তী সময়ে রাস্তাটির কথা আর করোর খেয়াল থাকে না।
তরুন সমাজসেবক হাসান আলী বলেন, রাস্তাটি সংস্কারের অভাবে জরাজীর্ণ হওয়ায় ধান ও সবজি মৌসুমে আমাদের কমদামে উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করতে হয়। কারণ, এই জরাজীর্ণ রাস্তায় কোনো মোটরসাইকেল আনতে গেলে ভাড়া বেশি দিতে হয়। আবার অনেক সময় আসতে রাজি হয় না। এলাকার শতশত লোকজন রাস্তাটি সংস্কারের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
লক্ষীপুর ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলী বলেন খুব শ্রীগ্রই কর্মসৃজনের কাজের মাধ্যমে রাস্তাটি মেরামত করা হবে।