|| রাঙামাটি প্রতিনিধি ||
ভারি বর্ষণে রাঙামাটিতে পাহাড় ধ্বসের আশঙ্কা বাড়ছে।জীবন মালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন মাঠে নেমেছে। শনিবার জনসাধারণকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে জেলার বিভিন্ন এলাকায় সচেতনতামূলক ব্যপক মাইকিং করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ভারী বর্ষণ ও ঘনঘন বজ্রপাতের কারণে পাহাড়ি জনপদ রাঙামাটিতে পাহাড় ধ্বসের আশঙ্কা বেড়ে গেছে। এ অবস্থায় পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসরত লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে জেলা প্রশাসন কাজ করছে। সচেতনতা প্রচার প্রচারণার অংশ হিসেবে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের সাথে পুলিশও মাঠে নেমেছে। ভারি বর্ষণে জেলার বিভিন্ন এলাকার সড়কে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শনিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শহরের শিমুলতলী, রূপনগর, লোকনাথ মন্দির, ভেদভেদী, রাঙ্গাপানি, তবলছড়ি, রিজার্ভ বাজার লুম্বিনী, বড়াদমসহ বিভিন্ন এলাকার দিনব্যাপী লোকজনকে সচেতন করতে মাইকিং করেছে।
শহীদ আব্দুল আলী একাডেমি, লোকনাথ মন্দির, রাঙামাটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, বিএম ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ বেতার, কাঠালতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, স্বর্ণটিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থাপন করা হয়েছে অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্র। দুপুরে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে রাঙামাটি কোতয়ালী থানার ওসি মোঃ আরিফুল আমিন'র নেতৃত্বে পুলিশের একাধিক টীম
পাহাড়ের পাদদেশে ঝুকিপূর্ণভাবে বসবাসরত লোকজনকে নিরাপদ রাখতে আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে অনুরোধ করেছে।
শনিবার বিকাল ৫টায় রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের ৩টি টিম শহরের বিভিন্ন এলাকায় পরিদর্শন ও জনগণকে সচেতন করতে মাঠে নামেন জানিয়েছেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর। এরপর সন্ধ্যায় আশ্রয় কেন্দ্রগুলো তদারকির বিষয়টিও নিশ্চিত করেন।
এদিকে নানিয়ারচর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নানিয়ারচর উপজেলায় প্রতিটি ইউনিয়নের ওয়ার্ড মেম্বারদেরকে স্ব স্ব অবস্থানে থেকে পাহাড়ের পাদদেশে থাকা লোকজনকে সচেতন করে তুলতে কাজ করেছেন বলে মিডিয়াকে জানিয়েছেন, নানিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তার।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০