বন্দরবাসীর সুরক্ষায় ও বন্দরের বানিজ্য সুষ্ঠ ভাবে করার লক্ষে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে ভারতীয় ট্রাক ড্রাইভার ও হেলপারদের নিয়ে করনিয় কি এ সংক্রান্ত গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭টা থেকে পোনে ৯ টা পর্যন্ত জুম মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। জুম মিটিং এ অংশ গ্রহন করেন ধর্ম মন্ত্রনালয়ের সচিব, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, জেলা প্রশাসক. পুলিশ সুপার, জেলা সিভিল সার্জন, উপজেলা চেয়ারম্যান, হাকিমপুর ও বিরামপুর উপজেলা নিবাহী অফিসার, পৌর মেয়র, হিলি কাস্টমস ডেপুটি কমিশনার, পানামা পোর্ট কর্তৃপক্ষ এবং ব্যবসায়ীরা।
ভারত থেকে মালামাল নিয়ে দেশে আসা ভারতীয় ট্রাকের ড্রাইভার ও হেলপারের করোনা নেগেটিভের সনদ অথবা ভ্যাকসিন গ্রহণের কার্ড ছাড়াই বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে। এতে হিলি স্থলবন্দরে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইতি মধ্যে ভারতে আটকে পড়া পাসপোর্ট যাত্রীর মাঝে করোনা পেেজটিভ ধরা পড়েছে এবং স্থানীয় ব্যবসায়ী সহ বেশ কয়েকজন করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় আতংকে রয়েছে বন্দরের ব্যবসায়ী ও জনগন।
গত সোমবার দিনাজপুরের হিলি হাকিমপুর পৌর মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত করোনার ভয়াবহতার প্রতিরোধে ভারতীয় ট্রাক প্রবেশ তথা আমদানি কার্যক্রম বন্ধ করে দেন। পরে সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের হস্তক্ষেপে ৩১ মে থেকে ভ্যাকসিন গ্রহণের কার্ড, করোনা নেগেটিভের সনদ প্রদর্শনের পাশাপাশি বাংলাদেশে প্রবেশের সময় করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে মালামাল নিয়ে ভারতীয় ট্রাক প্রবেশ করতে দেওয়া হয়। পরে বন্দর কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পত্র দেন।
পৌর মেয়র জামিল হোসেন জুম মিটিংএর কথা স্বিকার করে বলেন, করোনা টিকার কার্ড বা নেগেটিভ সনদ না থাকলে দেশে কোন ট্রাক চালককে প্রবেশ করতে দেওয়া হবেনা। যে সকল চালক করোনা টিকা বা নেগেটিভ সনদ দেখাবেন শুধু তাদেরকেই প্রবেশ করতে দেওয়া হবে এবং ভারতীয় ড্রাইভারদের এনেটিজম ট্রেষ্ট করার দাবী করেন।
উপজেলা নিবার্হী অফিসার নুর এ আলম জানান, মিটিং এ বন্দরে আগত ভারতীয় ট্রাক ড্রাইভার ও হেলপার যাতে বন্দরে কর্মরত শ্রমিকদের সাথে মেলা মেলামেশা করতে না পারে সে জন্য তাদের আলাদা থাকার ব্যবস্থা করার বিষয়ে আলোচনা হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়, বানিজ্য মন্ত্রনালয় ও স্থলবন্দর কতৃপক্ষে বিষয়টি জানানো হয়েছে তারা সিদ্ধান্ত দিবেন সে মোতাবেক বন্দরের কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।