জৈন্তাপুর প্রতিনিধি।
সম্প্রতি শেষ হওয়া LTE কনফারেন্সে মোবাইল অপেরাটররা 4 জি নেটওয়ার্ক নিয়ে আসার ঘোষণা দিয়ে 5 জি নেটওয়ার্ক চালুর কাজ চলছে। কিন্তুু বৃহত্তর জৈন্তার তিনটি উপজেলা জৈন্তাপুর,কানাইঘাট, গোয়াইনঘাটে 3 জি এর সেবা দিতে পারছে না এই প্রতিষ্ঠানটি গুলো সেখানে 4 জি 5 জি কিভাবে আনবে আমার জানা নেই। তবে যদি ঢাকা বা চট্টগ্রামের কিছু অভিজাত এলাকায় এই সেবা দিয়ে টিভিতে সারা দেশের কথা বলে বিজ্ঞাপন দেয় তাহলে হয়তো সম্ভব। কারণ প্রকারান্তে কভারেজের বাইরে থাকা লোকগুলো হয়তো এই চটকদার টিভি বিজ্ঞাপন থেকেও বঞ্চিত।
বিশ্বের দ্রুত ইন্টারনেট স্পিডের দেশের তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ার ভারত আর শ্রীলংকার নাম আছে আর আমাদের নাম নিচে থেকে খুঁজলে পেতে পারেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে হলে এই সব অপারেটরকে ধাক্কা দিয়ে ঢাকা থেকে বের করতে হবে। কারণ জুকারবার্গ যে ঢাকাতেই জন্মাবে তার গেরেন্টি কেও দেয়নি।
দেশের সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের সাধারণ সুবিধার আওতায় না আনতে পারলে দেশে ডিজিটাল বিপ্লব সম্ভব না। আর টিভি বিজ্ঞাপনের উপর ভিত্তি করে তরুণ সমাজ যে স্বপ্ন দেখছে তা কখনোই পূরণ হবার নয়।
বি টি আর সি এর উচিত এই কভারেজ বাড়ানোর জন্য অপেরাটরদের চাপ দেয়া। কারণ আইননানুগ ভাবে চুক্তি না থাকলে যেকোনো অপারেটর সামনে আর নেটওয়ার্ক কাভারেজ না বাড়ানোর ঘোষণা দিয়ে বসতে পারে। বি টি আর সি এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের এখুনি এই সব অপেরাটরদের সাথে কভারেজ নিয়ে কথা বলা উচিত এবং তা না হলে টিভিতে প্রচার করা এদের বিজ্ঞাপন বদ্ধ করা উচিত। অন্তত বাংলাদেশ আর মিথ্যে স্বপ্ন দেখবে না।
এ ব্যাপারে রবি, এয়ারটেল নেটওয়ার্ক বিষয় সিলেট এরিয়া মার্কেটিং ম্যানাজার শাহপরান এর সাথে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি নাম পরিচয় দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন।পরবর্তিতে তিনি বলেন নেটওয়ার্ক সমায়িক ভাবে ডাউনে আছে শ্রীগই তাহা টিক হয়ে যাবে।কিন্তুু ১ মাস পার হলেও যেমন আছে তেমন রয়ে গেছি নেটের স্পিড।
জৈন্তাপুর উপজেলার এক ব্যবসায়ী জানান গ্রাহকরা শুধুই নেটওয়ার্ক এর অভিযোগ দিচ্ছে আমরা সুদুউত্তর দিতে পারছি না।নেটওয়ার্ক সমস্যায় অনেক গ্রাহক এমএনপি করে অপারেটর ছেড়ে সেরা নেটর্য়াক বাংলালিংকের ভরসা করছে।