জিয়াউর রহমানঃ :
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের চালবন পয়েন্টে ভূট্রার বাম্পার ফলন হয়েছে। এলাকার কৃষকেরা জানান, আমাদের এলাকাসহ মথুরকান্দিতেও ভূট্রার সন্তোষজনক ফলন হয়। আমরা যদি ন্যায্য দাম পাই তাহলে আগামীতে আরো ভালো ফলন করতে পারব।
ভূট্রা একটি দানাদার খাদ্য।
এটি রবি এবং খরিপ উভয় মৌসুমে চাষ করা যায়। রবি মৌসুমঃ ইংরেজি অক্টোবর থেকে নভেম্বর মাসে রোপন করতে হবে।বাংলা : মধ্যে আশ্বিন থেকে মধ্যে অগ্রহায়ন মাস।খরিপ মৌসুমঃ ইংরেজি ফেব্রুয়ারী থেকে মার্চ মাস।
বাংলাঃ মধ্যে ফাল্গুন থেকে মধ্যে মার্চ মাস।
ভূট্টার বিভিন্ন কম্পানির বিভিন্ন জাত রয়েছে। তাদের মধ্যে উল্লেখ যোগ্য ভালো কয়েকটি হাইব্রিড জাতের নাম হলোঃ
(১) এ সি আই কম্পনির -প্রাউড (২) সিনজেনটা কম্পানির – সানরাইজ (৩) সুপ্রীম সীডের – কাবেরী ৫৪ (৪) লাল তীর – জি টি ৮২২ (৫) অটো ক্রপ কেয়ার – আল আকসা (৬) হ ইস্পাহানি – লাকি সেভেন (৭): পেট্রোকম এর পাইনিয়ার (৮) প্রলাইন (৯) বসুন্ধরা (১০) ব্রাক উত্তরন সুপার।
এছাড়াও আরও অনেক কম্পানির অনেক ভালো ভালো জাত আছে। ভূট্টা একটি লাভজনক ফসল। মৌসুম বেদে এর জীবন কাল কম বেশি হয়ে থাকে। তবে ১৩৫-১৪০ দিনের মধ্যে ফসল তোলা সম্ভব এবং বিঘা প্রতি ফলন ৫০-৬০ মন হয়ে থাকে।
অনাবাদি পতিত জমিতে চাষাবাদ করলে জমি কাজে লাগে। এবং বর্তমানে ভূট্টার তৈরী সাইলেজ যা গরুর দুধ বৃদ্ধি বা প্রোটিনের ব্যপক চাহিদা রয়েছে। তাই আমাদের দেশে সরকারি ভাবে কৃষি অফিসের সহায়তায় অনেক কৃষক কে উৎসাহ প্রদান করা হয়।বা প্রদর্শনী দেওয়া হয়। এতে করে অনেক কৃষক নিজে থেকেও উদ্যোগ গ্রহন করে এর আবাদ বৃদ্ধি করছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের। উপ-সহকারী কৃষি অফিসারগণও সার্বক্ষনিক সহযোগিতা ও পরামর্শ প্রদান করেন। আশা করি আগামীতে ভূট্টার ফলন আরও বাড়বে।কৃষিই আমাদের সমৃদ্ধি। কৃষক বাঁচলেই দেশ বাচবে
চালবন এলাকার দায়িত্বরত উপ-সহকারী কৃষি অফিসার নাজমুল হাকিম সাগরের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আমরা কৃষকের সাথে সব সময় যোগাযোগ করে সহায়তা করে থাকি।আমাদের সকলের প্রচেষ্টায় দেশ এগিয়ে যাবে এগিয়ে যাবে মানুষের স্বপ্ন।