স্টাফ রিপোর্টারঃ

সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুরে ইউএনও এর বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মফিজুর রহমান এর বিরুদ্ধে কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল কর্তৃক আয়োজিত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনে করেছে সচেতন নাগরিক সমাজ।

সোমবার (০৫ মে) দুপুরে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সচেতন নাগরিক সমাজ।

এসময় সচেতন নাগরিক সমাজের পক্ষে বক্তব্যে আলমগীর হোসেন লিখিত বক্তব্যে বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে বিশ্বম্ভরপুরে ০৪ আগস্টের ছাত্র-জনতার উপর হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী নুরুল আলম সাগর এবং ছাত্রলীগ নেতা তরিকুল ইসলাম শাওনসহ ছাত্রলীগ, যুবলীগের দোসরদের নিয়ে কতিপয় কিছু ব্যক্তি তাদের ব্যক্তিগত সুবিধা হাসিল করতে না পারায় তাদের ব্যক্তিগত আত্নীয় ও অনুসারীদের নিয়ে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলাধীন কারেন্টের বাজারে, সৎ, যোগ্য ও নীতিবান মানবিক উন্নয়নশীল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বিরুদ্ধে মিথ্যা ভিত্তিহীন অভিযোগ নিয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে আমরা তা শুনতে পারি ও সামাজিক মিডিয়ার মাধ্যমে দেখতে পাই। পরবর্তীতে ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসররা বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সরকারি ভবন ভাংচুর ও নৈরাজ্য সৃষ্টির মাধ্যমে নিজেদের হীন স্বার্থ হাসিলের লক্ষ্যে লাঠিসোটা নিয়ে রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি করে। উপজেলা পরিষদের অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল সহকারে আসার পথে উপজেলা প্রশাসন মাল্টিপারপাস সেন্টারের সামনে আসলে এলাকার যানমালের নিরাপত্তা ও সরকারি স্থাপনা রক্ষার স্বার্থে উপজেলা পরিষদে লাঠিসোটা নিয়ে মিছিল সহকারে না যাওয়ার জন্য সচেতন এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়। এ সময় তাদের হাতে থাকা লাঠি দ্বারা সচেতন এলাকাবাসীর উপর আক্রমণ করলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে শাহরিয়ার নামে এক কলেজ ছাত্র আহত হয়।

আরো একটি বিষয় আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখে অত্যান্ত আশ্চর্য হলাম যে, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সুনামগঞ্জ জেলা আহবায়ক ইমনদ্দোজা ও সুনামগঞ্জ জেলা গণ অধিকার পরিষদ নেতার উপস্থিতিতে যাদের হাতে ছাত্র জনতার রক্তের দাগ শুকায়নি সেই আওয়ামীলীগের দোসররা সংবাদ সম্মেলন করে। পরবর্তীতে গণ অধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক, মহোদয়ের বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে। এতে প্রমাণিত হয় যে, তারা তাদের নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য কখনো ছাত্র-জনতার নাম ব্যবহার করছেন, কখনো গণঅধিকার পরিষদের নাম ব্যবহার করছেন। কিন্তু এটা স্পষ্ট যে, ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর হিসেবে নিজেদেরকে আড়াল করার জন্য বিভিন্ন অপচেষ্টা করছেন। আমরা এই ঘৃণ্য অপপ্রচারমূলক ব্যক্তি স্বার্থ ও ফ্যাসিস্টদের বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নামে উত্থানের অপকৌশলের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, আলমগীর হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, আবুল কালাম, আরিফ রাব্বানী হিমেল, কায়েছ তালুকদার, সোহাঙ্গীর তালুকদার, সৈয়দ আকরাম হোসেন, গোলাপ রায়হান, জাহিদ হাসান খান, শাহরিয়ার আলম, মনির হোসেন, সুমন রেজা, রফিকুল ইসলাম মেম্বারসহ সুনামগঞ্জ জেলা ও উপজেলার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিক প্রমুখ।