ঢাকাবুধবার , ২৬ নভেম্বর ২০২৫
  1. সর্বশেষ
  2. সারা বাংলা

বামপন্থিদের স্লোগান ইস্যুতে বিবৃতি দিল কেন্দ্রীয় ছাত্রশিবির

প্রতিবেদক
নিউজ ভিশন
৬ আগস্ট ২০২৫, ৭:৩৫ অপরাহ্ণ

Link Copied!

তাওহীদ জিহাদঃ  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবির আয়োজিত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে শাহবাগী বামপন্থিদের পরিকল্পিত মব সন্ত্রাস ও অসংলগ্ন গতকাল ৫ই আগস্ট স্লোগানের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। বুধবার (৬ আগস্ট ২০২৫) এক যৌথ প্রতিবাদ বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম এ প্রতিবাদ জানান।

নেতৃবৃন্দ বলেন, “ছাত্রশিবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত ‘৩৬ জুলাই : আমরা থামব না’ প্রোগ্রোমে কিছু বামপন্থি সংগঠন তাদের ধারাবাহিক মব সন্ত্রাসের আরেকটি ঘৃণ্য নজির স্থাপন করল। বাংলাদেশের বিভক্তি ও বিভাজনের রাজনীতি এবং ফ্যাসিবাদের পাটাতন নির্মাণকারী শাহবাগী বাম সন্ত্রাসীরা শান্তিপূর্ণ ও প্রশাসন অনুমোদিত কর্মসূচিতে পরিকল্পিতভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। তারা দলবদ্ধভাবে হামলা চালিয়ে ছাত্রশিবিরের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ এবং ক্যাম্পাসকে অশান্ত করার অপচেষ্টা চালিয়েছে। ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক সাদিক কায়েমকে নিয়ে অযাচিতভাবে আপত্তিকর স্লোগান দিয়ে ব্যক্তিগত মর্যাদা ও সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার নিন্দনীয় অপচেষ্টা চালিয়েছে। আমরা তাদের এই ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।”

নেতৃবৃন্দ বলেন, “বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিসরে জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে বামপন্থিদের জনবান্ধব রাজনৈতিক কর্মসূচি ও প্রতিশ্রুতি নেই। বাংলাদেশের কৃষ্টি-কালচার, ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধ, আইনের শাসন এবং নিয়মতান্ত্রিক পন্থার বিপরীতে বস্তাপচা আদর্শের লালন, আধিপত্যবাদী ও ফ্যাসিস্টদের তোষণ, বিচারহীনতা ও মব সংস্কৃতি এবং গুম-খুন, গণহত্যার বৈধতা উৎপাদনই তাদের রাজনীতি।”

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, “তারা আইনের শাসনে বিশ্বাসী নয়। ২০১৩ সালে এই গোষ্ঠী শাহবাগে মব তৈরি করে বিচারিক হত্যার পথ তৈরি করে দেয়। দেশের সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক খালাসপ্রাপ্ত ছাত্রশিবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দিন দেশের বিভিন্ন স্থানে মব সৃষ্টি করে দেশের আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে। শুধু তাই নয়, শাপলা গণহত্যা, প্রহসনের তিনটি নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার হরণ, গুম, খুন, দুর্নীতি, আয়নাঘর নির্মাণসহ যাবতীয় জুলুম ও বেআইনি কাজের বৈধতাদানকারী ও ফ্যাসিবাদের সহযোগী ছিল এই বামপন্থিরা। ফ্যাসিস্টদের ঐতিহাসিক সহযোগী হিসেবে চব্বিশের গণহত্যার দায়ও তারা এড়াতে পারে না।”

নেতৃবৃন্দ বলেন, “আমরা মনে করি, অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে দিল্লির আধিপত্য টিকিয়ে রাখা ও আওয়ামী গণহত্যাকে নরমালাইজ করার উদ্দেশ্যে পুনরায় বিভাজনের রাজনীতি সক্রিয় করতে চাইছে। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলছি, অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে শাহবাগী বামপন্থিদের অপরাজনীতির অধ্যায় শেষ হয়েছে। বিভাজন ও ফ্যাসিবাদী বয়ান এখন ইতিহাসের জঞ্জাল ছাড়া কিছুই নয়। নতুন বাংলাদেশে সকল বিচারিক ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের দায়ে আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসরদের বিচারের মুখোমুখি করার মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের ইতি টানতে হবে।”

নেতৃবৃন্দ সকল পক্ষকে মব, সন্ত্রাস, ঐক্যবিনাশী কর্মকাণ্ড, দোষারোপ ও দায় চাপানোর রাজনীতি পরিহার করে নিয়মতান্ত্রিক, গঠনমূলক ও ছাত্রকল্যাণমূলক রাজনীতি চর্চা করার আহ্বান জানান।

আরও পড়ুন

‎শান্তিগঞ্জে মেধা যাচাই পরীক্ষায় সেরা বিদ্যালয়, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান ‎

দোয়ারাবাজারে মাদকবিরোধী ভলিবল টুর্নামেন্টে বোগলাবাজার ইউনিয়ন চ্যাম্পিয়ন

ঘূর্ণিঝড় “সেনিয়ার” আতঙ্ক!

অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেয়েছেন ১০৩ চিকিৎসক

অনির্দিষ্টকালের জন্য এনআইডির সকল সেবা বন্ধ

চকরিয়ার হারবাংয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু

মারধরের অভিযোগে চবি ছাত্রদলের তিন নেতাকে শোকজ

আঞ্চলিক জোট গঠন ও সমতার ভিত্তিতে পররাষ্ট্রনীতি ঘোষণা করেন জিয়া

গলায় পা দিয়ে চেপে ধরে মেজর সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করে ওসি প্রদীপ

দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতেও জোর করে ফ্লোর পার্টি করছে ইডেনের আবাসিক কিছু শিক্ষার্থী

নাশকতার মামলায় আ’লীগ নেতাদের সাথে জামায়াত নেতার নাম, প্রতিবাদে থানাগেটে বিক্ষোভ

টেকনাফে গহীন পাহাড়ে যৌথ সাঁড়াশি অভিযান,সন্ত্রাসীদের নিরাপদ আস্তানা ধ্বংস