সুন্দরগঞ্জ(গাইবান্ধা)প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে প্রায় দেড় বছর পেরিয়ে গেলেও পাঁচ কিলোমিটার সড়কের নির্মান কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদার। এতে রাস্তার খোয়া ও বালু উঠে গিয়ে খানা-খন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এসব খানা-খন্দে বৃষ্টির পানি জমে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। ফলে ছোট-বড় দূর্ঘটনাসহ চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে চলাচলকারীদের।
স্থানীয় প্রকৌশল অফিসের তথ্য মতে, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে বামনডাঙ্গা-নলডাঙ্গা পাঁচ কিলোমিটার সড়কের সংষ্কার ও দুই ধারে চার মিটার বর্ধিতকরণ বাবদ সাড়ে চার কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। কাজের টেন্ডার পায় মেসার্স মতলুব কনস্ট্রাকশন নামে এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। পরবর্তীতে রাস্তার কাজ আরেক ঠিকাদারের কাছে বিক্রি করে দেন ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। এরপর কাজ শুরু করেন সেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। শুরু থেকেই সংষ্কার কাজে ধীরগতি ও নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। বিভিন্ন সময়ে স্থানীয়দের তোপের মুখে সেই নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী অপসারণ করাতে বাধ্য হয় ঠিকাদার। এরপর থেকে নানা অযুহাতে নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখে প্রতিষ্ঠানটি। এদিকে, রাস্তার নির্মান কাজ নয় মাস সময় বেধে দেয়া থাকলেও সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদার। প্রায় দেড় বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো রাস্তার কার্পেটিং শুরু করেনি। ব্যস্ততম এই সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন ছোট-বড় প্রায় ৮ শতাধিক যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু সড়কের বেহাল অবস্থার কারনে বিকল্প রাস্তায় গন্তব্যে পৌছাঁতে বাধ্য হচ্ছেন পথচারীরা। স্থানীয়রা দ্রুত রাস্তার নির্মান কাজ শেষ করার দাবি জানিয়েছ।
এ ব্যাপারে সফিকুল নামে এক ইজিবাইক চালক বলেন, রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় ইটের টুকরো উঠে গিয়ে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। আর এসব গর্তে পানি জমে জলাবদ্ধতা তৈরি হওয়ায় অনেক দূর্ঘটনাও ঘটছে। এ ছাড়াও গাড়ীতে রোগী থাকলে অনেক ধীর গতিতে চালাতে হয়।
সুমাইয়া আক্তার নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, রাস্তায় পিচ না করায় আমাদের অনেক সমস্যা হচ্ছে। অটোতে ধীরে ধীরে গিয়ে সময় মতো স্কুলে পৌছাঁতে পারিনা। আর বিভিন্ন সময় বড় ট্রাক গুলো পানি জমে থাকা গর্তের উপর যাওয়ায় ময়লা পানি শরীরে লেগে পোশাক নষ্ট করে দেয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী আবুল মনছুর বলেন, ঠিকাদার অসুস্থ থাকায় কাজ শুরু করতে পারেনি। তবে আগামী সপ্তাহের মধ্যে কাজ শুরু করার তাগিদ দিয়েছি।