সাঈদী আকবর ফয়সাল,চকরিয়া :
চকরিয়ার বদরখালীর আওয়ামীলীগ নেতা শেখ সালাহউদ্দিনকে তুচ্ছ বিরোধে কোষ্টগার্ড অফিসে ডেকে নিয়ে বেধম মারধর করে গুরুতর জখমের অভিযোগ উঠেছে। এমনকি তাকে গুলি করে হত্যা করেছে মর্মে গুজব ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত হাজার হাজার জনতা কোষ্টগার্ড অফিস ঘিরে রেখে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। পরে সাংসদ জাফর আলম ও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)’র উপস্থিতিতে পরিস্থিতি শান্ত করে এবং নিরপরাধ শেখ সালাহউদ্দিনকে কোষ্টগার্ড ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।
চকরিয়ার বদরখালীস্থ মহেশখালী পূর্বজোন কোস্টগার্ড অফিসার আশরাফ ফোন করে কোস্টগার্ড অফিসে ডেকে নিয়ে কোস্টগার্ড অফিসারসহ ৭/৮ জন মিলে দুই হাতে হ্যান্ডক্যাপ পড়িয়ে পায়ের তালু থেকে মাথা পর্যন্ত পিঠিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করা হয়েছে বদরখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ও চকরিয়া পেকুয়ার দায়িত্ব প্রাপ্ত এম পি সাফেয়া খাতুনের সাবেক এপিএস শেখ সালাহ উদ্দিনকে। এ খবরটি এলাকায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ হাজার হাজার জনতা কোস্ট গার্ডের অফিস ঘেরাও করে। অবস্থা বেগতিক দেখে তারা সুর পাল্টিয়ে তার কাছে ইয়াবা পেয়েছে বলে প্রচার করে। মূলত: কোষ্টগার্ড কর্তৃক সাগরে জেলেদের বিভিন্নভাবে হয়রাণী এবং চাঁদাদাবীর প্রতিবাদ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে শেখ সালাহউদ্দিনকে ন্যাক্কারজনক এ ঘটনা করেছে কোষ্টগার্ড।
ততক্ষণে কোনাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদার উপস্থিত হলে লোকজন আরও বেশি চাঙ্গা হয়ে উঠেন। চেয়ারম্যান দিদারুল হক কোস্টগার্ড অফিসে ঢুকে তাকে দেখে জনগণকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। দিদার চেয়ারম্যান বলেন, আমি ভিতরে ঢুকতেই দেখি কয়েকজন কোস্ট গার্ড সদস্য শেখ সালাহউদ্দিনকে এলোপাতাড়ি পেঠাচ্ছেন। আমি তাদেরকে আমার ভাগিনা পরিচয় দেওয়ার পরে একটু কম পেটায়। কোস্ট গার্ডের অফিসার আশরাফ হোসেনের কাছ থেকে তার অপরাধ কি জানতে চাইলে তিনি কোনো সদোত্তর দিতে পারেননি। পাশ থেকে অন্য একজন কোস্ট গার্ডের সদস্য বলেন, তার কাছে ইয়াবা পাওয়া গেছে। আমি তখন বলি,হাস্যকর কথা বলিয়েননা। যে একটি পান-সিগেরেটও খায়না সে আবার ইয়াবা?। দিদার চেয়ারম্যান আরও বলেন, আমার সামনে কয়েক জন কোস্ট গার্ডের সদস্য তাদের জানালার কাচ ভেঙ্গে দিয়ে, অন্য নাটক সাজানোর পায়তারা চালায়। ততক্ষণে চকরিয়া-পেকুয়ার আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব জাফর আলম এমএ ও চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাবিবুর রহমানসহ থানার একদল পুলিশ উপস্থিত হন।
এদিকে চকরিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন হক জেসি চৌধুরী, বদরখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল বশর, সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ আলী, আলহাজ্ব নুরে হোসাইন আরিফসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগন শেখ সালাহ উদ্দিনকে অত্যন্ত ভালো ও সৎ জীবন যাপনকারী হিসেবে আখ্যায়িত করে কোস্ট গার্ডের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিতে এমপির নিকট অনুরোধ করেন। অবশেষে জনগণের রোষানলে নিরীহ ও নির্দোষ শেখ সালাহ উদ্দিনকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় কোষ্টগার্ড।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০